বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

প্রতি পাঁচ সেকেন্ডে প্রাণ হারাচ্ছে একটি শিশু

গত বছর বিশ্বে ১৫ বছরের কম বয়সী ৬৩ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গড়ে প্রতি ৫ সেকেন্ডে মৃত্যু হয়েছে একজন করে শিশুর। গতকাল ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, বিশুদ্ধ পানির অভাব, পুষ্টিহীনতা, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসুরক্ষার অভাব ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকাই এসব শিশুর অধিকাংশের মৃত্যুর কারণ। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রাণ হারানো শিশুদের একটা বড় অংশের বয়স ৫ বছরের কম, সংখ্যার হিসাবে যা ৫৪ লাখ। এদের অর্ধেকই সদ্যোজাত শিশু। জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের বিশেষজ্ঞ লরেন্স ক্যান্ডি মনে করছেন, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, বিদ্যুৎ ও টীকার মতো সহজ ব্যাপারগুলো নিশ্চিত করা গেলেই এ মৃত্যুর হার বিপুল পরিমাণে কমানো সম্ভব। তিনি সতর্ক করেছেন, দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ কোটি ৬০ লাখ শিশু প্রাণ হারাতে পারে, যার অর্ধেকই হতে পারে সদ্যোজাত।

শিশু। ওই যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে প্রাণ হারানো ৬৩ লাখ শিশুর অর্ধেকই আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের। সেখানে প্রতি ১৩ শিশুর মধ্যে একজন ৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই মারা যায়। উন্নত দেশগুলোতে এ মৃত্যুর হার ১৮৫ জনে একজন। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছরের কম বয়সী অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হয় নিরাময়যোগ্য রোগে। জন্মকালীন জটিলতা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া নিওনাটাল সেপসিসের কারণে তাদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়। আর পাঁচ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ মূলত শারীরিক আঘাত। বিশেষ করে পানিতে ডুবে কিংবা সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় তারা।

তবে বিপুল সংখ্যক শিশু মৃত্যুর পরও ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিশু মৃত্যুহার আগের চেয়ে কমে গেছে। ১৯৯০ সালে ১ কোটি ২৬ লাখ শিশু পাঁচ বছর বয়স হওয়ার আগেই প্রাণ হারিয়েছে।  ২০১৮ সালে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ লাখে।

সর্বশেষ খবর