বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউরোপের ‘খাদ্য কূটনীতি’

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গম ও সারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং সম্ভাব্য ঘাটতির বিষয়ে রুশ প্রচারণার জবাব দিতে ‘খাদ্য কূটনীতি’র কৌশল নিয়েছে ইউরোপ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিকদের দাবি, এই সংকটকে রাশিয়া পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফল হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করছে। এতে বিশ্বব্যাপী ইইউর প্রভাব হুমকিতে পড়েছে। এ কারণে রুশ প্রভাব ঠেকাতে ‘খাদ্য কূটনীতি’ ও ‘বর্ণনা যুদ্ধে’ অবতীর্ণ হওয়ার পরিকল্পনা করছে ইউরোপ।

খবর অনুসারে, বলকান, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রুশ প্রভাব ঠেকাতে খাদ্য কূটনীতি চালু করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। থাকছে মোটা অঙ্কের অর্থসহায়তাও। ইইউর প্রতিবেশীরা, বিশেষ করে মিসর ও লেবানন সার-গমের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর পর থেকে এসব দেশে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়, যার ফলে বেড়ে যায় সার-গমের দাম। এক ইউরোপীয় কূটনীতিক বলেন, আমরা এ অঞ্চল হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি নিতে পারি না। এসব দেশে খাদ্য ঘাটতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সঙ্গে নতুন উদ্যোগ ঘোষণা করতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউর বৃহত্তম কৃষিপণ্য উৎপাদক ফ্রান্স ‘ফার্ম’ নামে একটি কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য একটি বৈশ্বিক খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

গত মঙ্গলবার ইইউ ও জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে  বৈঠকের পর ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভস লে দ্রিয়াঁ জানিয়েছেন, আগামী জুন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সভাপতি থাকছে ফ্রান্স। এর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই খাদ্য কূটনীতির বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি নিশ্চিত করতে চায় দেশটি।

এ ছাড়া জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করে   ইউরোপীয় ইউনিয়নের কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে হাঙ্গেরি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) নিশ্চিত করেছে, তারা একটি খাদ্য আমদানি অর্থায়ন ব্যবস্থা বিবেচনা করছে। তবে ইইউর বিদেশ বিষয়ক দফতর বলছে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে এফএও মহাপরিচালকের সঙ্গে কাজ করা খুবই ‘চ্যালেঞ্জিং’। এ বিষয়ে জাতিসংঘের সংস্থাটিকে দ্রুত কাজ করার জন্য ইউরোপ চাপ দিচ্ছে।

সর্বশেষ খবর