পুষ্টির ক্ষেত্রে কলার গুণ মেলা। তাই ডাক্তাররা আর কিছু খেতে না বললেও ফলের মধ্যে অন্তত কলা খেতে বলেন। বাঙালিদের কাছে কলা ও কলা গাছ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই কলা যদি তিন কেজি হয় তাহলে কেমন হবে। কিন্তু এটাই সত্য। আর এত বড় কলার গাছটি তাহলে কেমন হবে। এমনই এক দৈত্যাকার কলার প্রজাতির খোঁজ মিলেছে নিউজিল্যান্ড থেকে কিছু দূরে সাগরঘেরা দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে। সেখানেই দেখা মিলেছে এই কলা গাছের। লম্বায় প্রায় নারকেল গাছের সমান। ৫০ ফুটের কাছাকাছি। কলা গাছটি ‘মুসা ইনজেন্স’ প্রজাতির। এ কলাগাছের উচ্চতা অবশ্য এর চেয়েও বেশি হয়। মুসা ইনজেন্সের পাতাগুলোর আকৃতিও বিশাল। প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট হয় পাতাগুলোর দৈর্ঘ্য। এক-একটি কলা লম্বায় প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার এবং ওজনে প্রায় ৩ কেজি!
‘দেখা মিলেছে’ বললে অবশ্য একটু ভুল হয়। ১৯৫৪ সালেই এই কলা গাছ প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা একটি ‘মুসা ইনজেন্স’ সবচেয়ে লম্বা কলাগাছ হিসেবে ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে’ স্বীকৃত। তবে ২০২০ সালে এটি বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন রিজার্ভ একে বিপন্ন প্রজাতি রূপে ‘লাল’ তালিকাভুক্ত করেছিল।