রবিবার, ৭ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা
সংক্ষিপ্ত

সুদানে সংঘাত অবসানে মধ্যস্থতায় সৌদি আরব

যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়ার পর সুদানের চলমান সংঘাত অবসানে মধ্যস্থতায় নেমেছে সৌদি আরব। বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে মুখোমুখি আলোচনার আয়োজন করেছে দেশটি। তাদের এই মধ্যস্থতার উদ্যোগে সহযোগিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সুদানি সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর মধ্যে গতকাল এই বৈঠকের আয়োজন করেছে রিয়াদ। এ বছরের ১৫ এপ্রিল সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে দীর্ঘকাল ধরে চলা ক্ষমতার লড়াই প্রকাশ্যে চলে আসে। দুই বাহিনীর দ্বন্দ্বে এ পর্যন্ত শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দুই পক্ষের মধ্যস্থতায় রিয়াদের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন-সৌদি যৌথ বিবৃতিতে সুদানের সংঘাতরত দুই বাহিনীর ‘প্রাক-সমঝোতা আলোচনা’র প্রশংসা করেছে হোয়াইট হাউস।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সুদানের জাতি ও জনগণের স্বার্থ বিবেচনায় লড়াইরত উভয়পক্ষকে সক্রিয় যুদ্ধবিরতি ও সংঘাত অবসানের জন্য সমঝোতা আলোচনার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’ মানবিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে প্রতিনিধিদের আলোচনার জন্য রিয়াদ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

তবে বাস্তবতা ভিন্ন। শুক্রবারেও সংঘাতে উত্তপ্ত ছিল সুদানের রাজধানী খার্তুম। ক্ষমতার লড়াই ছেড়ে কোনো পক্ষই সমঝোতা চুক্তির মনোভাব দেখাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনী সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলে একজন জেনারেল পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা ও একজন রাষ্ট্রদূত রয়েছেন। সেনাবাহিনীর প্রতিপক্ষ আরএসএফ বলেছে, তারা শুধু মানবিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করবে। চলমান সংঘাত অবসানের বিষয়ে কোনো আলোচনায় তারা অংশ নেবে না। মার্কিন বার্তা সংস্থা আধা-সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, আরএসএফ আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। দুই জেনারেলের ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি সুদান। প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে চলমান এই সংঘাতে প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা জানিয়েছে, ঘরবাড়ি ছেড়েছেন প্রায় সাড়ে ৪ লাখ বেসামরিক নাগরিক। এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ। ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, সংঘাতের প্রথম ১১ দিনের মধ্যে শিশু ও নারীসহ প্রায় ১৯০ জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে। শুধু খার্তুম ও দারফুরে আহতের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। বিবিসি

 

 

সর্বশেষ খবর