বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেলগোরোদে রুশবিরোধীদের হামলা অভিযান চালাচ্ছে মস্কো

বেলগোরোদে রুশবিরোধীদের হামলা অভিযান চালাচ্ছে মস্কো

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেনা সদস্যদের উৎসাহ দিতে গতকাল দনেস্কো সফর করেন -এএফপি

ইউক্রেনের ভিতর থেকে সশস্ত্র একটি দল রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে ঢুকে সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে এবং তাতে সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা আহত হয়েছেন বলে রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। স্থানীয় গভর্নর ভিচেস্লাভ গাদকোভ বলেছেন, গ্রাভোরোনস্কি সীমান্ত এলাকায় যারা হামলা করেছে, সেই নাশকতাকারীদের খুঁজতে শুরু করেছে রাশিয়ান বাহিনী।

গভর্নর ভিচেস্লাভ গাদকোভ বলেছেন, সীমান্তবর্তী জেলা বেলগোরোদে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে’ রুশ বাহিনী শত্রুদের চেপে ধরেছে। গতকাল তার এ মন্তব্যের আগের দিনই সীমান্ত টপকে সশস্ত্র যোদ্ধাদের বিরাট একটি দলের অনুপ্রবেশ ঘটে, যাকে ১৫ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেন থেকে সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশ বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সোমবার রাশিয়া জানিয়েছিল, তারা সীমান্ত টপকে বেলগোরোদে প্রবেশ করা ইউক্রেনীয় নাশকতাকারীদের সঙ্গে লড়ছে।

এরপর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এক উপদেষ্টা টুইটারে বলেন, কিয়েভের সরকার পুরো পরিস্থিতি দেখছে, কিন্তু ‘এ নিয়ে তাদের কিছুই করার নেই’। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম হরোমাদস্কে জানিয়েছে, রুশ নাগরিকদের নিয়ে গঠিত দুটি গোষ্ঠী- লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিয়ন ও রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস সোমবার বেলগোরোদে ওই হামলা চালিয়েছে। রাশিয়ার আঞ্চলিক গভর্নর ভিচেস্লাভ গাদকভ মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বলেছেন, সীমান্তের যে এলাকায় নাশকতাকারীরা ঢুকেছিল সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান এখনো চলছে। ‘অঞ্চলটি শত্রুমুক্ত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযান চলছে,’ বলেছেন তিনি। আগের দিন তিনি বলেছিলেন, নাশকতাকারীদের হামলায় আটজন আহত হয়েছেন, একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অনেক বাসিন্দা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যোগাযোগ ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। দুটি ভবনে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে এবং অনেকেই তাদের বাড়িতে ফিরতে পারেননি, বলেছেন এ গভর্নর। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলোকে বলেছেন, নাশকতাকারী দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের শহর বাখমুট শহর থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া- যে শহরটি অনেক মাস ধরে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্য বাহিনী দখল করেছে। ‘এ ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্য আমরা ভালোভাবেই বুঝতে পারছি- বাখমুট থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া, শহরটি হাতছাড়া হওয়ায় ইউক্রেনের যে রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে, সেটাকে কমিয়ে তোলা,’ তিনি বলছেন। যদিও কিয়েভ এখনো দাবি করছে, শহরের কিছু অংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা ইউরিক সাক মন্তব্য করেছেন, ‘এসব হামলার পেছনে রাশিয়ার নাগরিকরাই রয়েছে, যারা সেদেশের সন্ত্রাসবাদী শাসকদের ওপর বিরক্ত।’ তবে রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সর্বশেষ খবর