হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীরসহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে টানা বৃষ্টির কারণে শনিবার ও গতকাল প্রায় ২৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন রাজ্যের নদীগুলোতে পানির স্তর এতটাই বেড়েছে যে একাধিক জায়গায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন, চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।
সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হিমাচল প্রদেশে। এ রাজ্যে ভারী এবং অবিরাম বর্ষণের কারণে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ভারতের আবহাওয়া দফতর থেকে রাজ্যটির সাতটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে বিপর্যয় দুর্যোগ মোকাবিলা দল। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকু নদী ভ্রমণ করতে বারণ করেছেন।
উত্তরাখন্ডের অবস্থা ও অত্যন্ত খারাপ। বর্ষণজনিত কারণে এ রাজ্যটিতেও পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, এর মধ্যে তিনজন তীর্থযাত্রী। গঙ্গাসহ প্রধান নদীগুলোতে পানির স্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন। ধসের কারণে বদ্রিনাথ জাতীয় সড়ক, জাতীয় সড়ক-৯ বন্ধ রাখা হয়েছে। টানা দুই দিনের
বৃষ্টির কারণে দিল্লিতেও স্তব্ধ স্বাভাবিক জনজীবন। একাধিক সড়ক পানির তলায়। পানির তলায় পার্ক, আন্ডার পাস, বাজার, স্কুল, হাসপাতাল চত্বর। আজ রাজ্যে সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে। পানি বাড়ছে ঝিলম, নীরুসহ বিভিন্ন নদীগুলোতে। নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। অবিরাম বর্ষণে উপত্যকায় সেনাবাহিনীর দুই জওয়ানসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে গতকালও বন্ধ রাখা হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। এর ফলে জম্মুসহ বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়েছে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী।