ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের যুদ্ধ নিয়ে ব্রিটেনে সরকার ও সাধারণ জনগণের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে ইসরায়েলের পক্ষে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর অবস্থান, অপরদিকে সাধারণ জনগণের ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি। লন্ডনে শনিবার ৩০ হাজার মানুষ যোগ দেন ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে। বিবিসির সামনে জড়ো হয়ে এই র্যালি সেন্ট্রাল লন্ডনের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌঁছে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে। এদিন অনেকেই হামাসের পোশাক পরে র্যালিতে অংশ নেন। সেই র্যালি থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ সরকার ইসরায়েলের পক্ষে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের সঙ্গে আছেন এমন বার্তা দেন। এরপর তার অফিসিয়াল বার্তায় জানান, প্রয়োজন হলে সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান ১০ অক্টোবর এক বার্তায় লন্ডনের মেট পুলিশের হেড কনস্টেবলদের বলেছেন, ব্রিটেনের রাস্তায় ফিলিস্তিনের পতাকা ওড়ানো বা টাঙানো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। এদিকে এমন ঘোষণার পর যেন সাধারণ মানুষের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন সুয়েলা ব্রাভারম্যান। লন্ডনের বিভিন্ন রাস্তায় টাঙানো হচ্ছে ফিলিস্তিনের পতাকা।
এদিকে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন মিনিস্টার রবার্ট জেনরিক ১২ অক্টোবর আরেক বার্তায় বলেছেন, যারা স্টুডেন্ট ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিটে আছে মানে যারা ভিসা রেস্ট্রিকশনে আছে তারা যদি হামাসের পক্ষে অবস্থান নিয়ে লেখালেখি বা কার্যক্রম করে তাহলে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। ইতোমধ্যে ফ্রান্স থেকে তিনজনকে একই ধরনের অভিযোগে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। ব্রিটেনে একজনের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।