গত ৯ মাসে গাজায় পুরো হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। এ সময়ে প্রায় অর্ধলক্ষ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। বাপ-মা হারা হয়েছে অজস্র শিশু। সংখ্যাটা প্রায় ১৯ হাজার। এমনটাই বলা হয়েছে জাতিসংঘের একটি রিপোর্টে। হয় শেলটার হোম, না হয় আত্মীয়দের কাছে বেড়ে উঠছে তারা।
স্ট্যাটিসটিক্যাল পদ্ধতিতে তৈরি করা জাতিসংঘের একটি সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, তবে এতিম হওয়া শিশুর আসল পরিসংখ্যান হয়তো আরও বেশি। অন্য কোনো যুদ্ধে এত ছোট এলাকার মধ্যে এত পরিমাণ বোমা বর্ষণ সাম্প্রতিককালে হয়নি বলেই তাদের অনুমান। জাতিসংঘের ‘শিশু এজেন্সি’র মুখপাত্র জোনাথন ক্রিকস বলেন, গাজায় শিশুদের সংখ্যা বেশি। ঘিঞ্জি, ছোট এলাকায় অতিরিক্ত বোমা বর্ষণ হয়েছে এই যুদ্ধে। ফলে ক্ষতির পরিমাণও ভয়ংকর হারে বেড়েছে।
যুদ্ধে আহত অন্তঃসত্ত্বা একাধিক মহিলা প্রসবের পর প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সব শিশু অনাথ হয়েই জন্মেছে গাজায়। ব্রিটিশ চিকিৎসক ডা. দেবোরা হ্যারিংটন গত ডিসেম্বর মাসে এভাবেই দুই শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখতে সাহায্য করেন।
যদিও প্রসবের পরই মৃত্যু হয় মায়েদের। পাশাপাশি ইসরায়েল সেনার হাতে বন্দি থাকা বহু মানুষের সন্তানরা বড় হচ্ছে অনাথ হিসেবেই। আবার কখনো যুদ্ধবিমান হানার পরে আহত শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। মা-বাবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর আর কখনো ঘরে ফিরতে পারেনি তারা।