লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলা ইসরায়েলের প্রতিরোধ ক্ষমতা হারানোর প্রমাণ এবং এ অঞ্চলে কৌশলগত ভারসাম্য এখন ইসরায়েলের বিপক্ষে চলে গেছে। গতকাল ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলা নিয়ে ইরান এ মন্তব্য করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি এক্স-এ লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো রাষ্ট্রগুলোর পূর্ণ সমর্থন থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রতিরোধের একটি সীমিত ও পরিকল্পিত প্রতিক্রিয়ার সময় ও স্থান সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারেনি। ইসরায়েল তার প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়েছে।
রবিবার সকালে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের দিকে কয়েকশ রকেট ও ড্রোন নিক্ষেপ করে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১০০টিরও বেশি যুদ্ধবিমান দিয়ে লেবাননে হামলা চালায়। এ পাল্টাপাল্টি হামলা সীমান্তে ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম সংঘর্ষ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কানানি আরও বলেন, ইসরায়েলকে এখন দখলকৃত ভূখন্ডের ভিতরেই নিজেদের রক্ষা করতে হবে এবং কৌশলগত ভারসাম্য এখন ইসরায়েলের বিপক্ষে মৌলিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ গাজায় শুরু হওয়ার পর থেকেই সীমান্তে এ সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। যে সংঘাতে হিজবুল্লাহর সমর্থক ইরান এবং ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এতে জড়িয়ে পড়তে পারে।
হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ বলেছেন, সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে তাদের হামলা পরিকল্পনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়েছে। রবিবারের সংঘর্ষে লেবাননে তিনজন এবং ইসরায়েলে একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উভয় পক্ষই আপাতত উত্তেজনা আর বাড়াতে চাইছে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। তবে তারা সতর্ক করেছে, ভবিষ্যতে আরও হামলা হতে পারে।