ফের উত্তপ্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর। ড্রোন, গুলি ও বোমাবর্ষণে রাজধানী ইম্ফলে এক নারীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া দুই পুলিশ সদস্য ও এক সাংবাদিকসহ আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ড্রোন দ্বারা বোমাবর্ষণ ও গুলি করে হামলাগুলো চালানো হয়েছিল। জাতিগত সহিংসতায় আক্রান্ত রাজ্যের বেসামরিক এলাকায় ড্রোনের মাধ্যমে বোমাবর্ষণ আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কুকি সদস্যরা একটি মেইতেই গ্রামে হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলেছে, পাহাড়ের ওপর থেকে নিচের উপত্যকা লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এ সময় উচ্চপ্রযুক্তির ড্রোন ব্যবহার করে আরপিজি (রকেট প্রোপেলড গ্রেনেড) নিক্ষেপ করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামটিকে লক্ষ্য করে এ ধরনের অন্তত সাতটি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে। মণিপুর পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণত যুদ্ধের সময় ড্রোন বোমা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিক লোকদের ওপর বিস্ফোরক ফেলতে সাম্প্রতিক এই ড্রোন ব্যবহার একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম নাংবাম সুরবালা। ৩১ বছর বয়সি ওই নারীর মাথায় গুলি লাগে। হামলায় তার ১১ বছরের মেয়েও গুলিবিদ্ধ হয়। তবে সে বেঁচে রয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি কখনোই। ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো মেইতেই জনজাতি। তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছিল, তাদের তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি দিতে হবে। কিন্তু এ দাবির বিরোধিতা করে স্থানীয় কুকি-জো আদিবাসীরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।