ইরানের সঙ্গে শান্তিচুক্তির আশা ট্রাম্পের

ইরানের সঙ্গে শান্তিচুক্তির আশা পুনর্ব্যক্ত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে যদি কোনো শান্তিচুক্তি সম্ভব হয়, তবে তা দারুণ হবে। এ সময় ইরানের জনগণ বাঁচতে চায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য তার পূর্বসূরি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সমালোচনা করেন ট্রাম্প। তিনি ওই চুক্তিকে একটি ‘বিপর্যয়’ বলে আখ্যা দেন। তবে তিনি বলেন, ‘তবু ইরানের শাসকগোষ্ঠী, যাদের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে এত মৃত্যু নেমে এনেছে, আমাদের বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার হাত তাদের জন্য উন্মুক্ত। তারা একটি চুক্তি করতে চায়। আমরা দেখব আমরা কিছু করতে পারি কি না।’ ইসরায়েলি আইনপ্রণেতারা তার বক্তব্য অত্যন্ত নীরবতার সঙ্গে গ্রহণ করেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ইরানের দীর্ঘদিন ধরে মতবিরোধ চলছে। পশ্চিমাদের দাবি, ইরান পারমাণবিক বোমা বানানোর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। কিন্তু ইরান বারবার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, পারমাণবিক বোমা তৈরির কোনো উদ্দেশ্যই তাদের নেই। তারা অন্যান্য দেশের মতো শান্তিপূর্ণ বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে চায়। এদিকে জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সঙ্গে হওয়া চুক্তি স্থগিত করেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তবে তিনি বলেন, ‘পদক্ষেপ অস্থায়ী, অর্থাৎ সহযোগিতা সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়নি বরং সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। ইরানের অধিকার ও জাতীয় স্বার্থের রক্ষার জন্য সহায়ক প্রস্তাব হলে তেহরান আবার তার চুক্তিতে ফিরে যেতে প্রস্তুত।’ জুনে ইসরায়েল ও মার্কিন বোমা হামলার পর সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি করে তেহরান। চুক্তি অনুযায়ী, সংস্থাটিকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর পরিদর্শন পুনরায় শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এরপর যখন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানিসহ ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী সব দেশ তেহরানের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে, তখন চুক্তিটি তাৎপর্য হারিয়ে ফেলে। -আলজাজিরা ও আরটি