ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বর্তমান যুদ্ধবিরতি নামমাত্র অবস্থায় থাকলে অঞ্চলটি ‘না যুদ্ধ, না শান্তি’ এক প্রাণঘাতী অনিশ্চিত অবস্থার দিকে ধাবিত হবে বলে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধান কূটনীতিক মাজেদ আল-আনসারি। এ সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি গাজায় দ্রুত একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী ও অস্থায়ী প্রশাসন গঠন করে পূর্ণ ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের পথ তৈরির তাগাদা দিয়েছেন। এদিকে ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য একটি বৈঠকের আয়োজন করতে যাচ্ছে তুরস্ক। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান একটি বৈঠকের আয়োজন করবেন। গাজার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কাতারের প্রধান কূটনীতিক মাজেদ আল-আনসারি বলেন, ‘আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না যেখানে যুদ্ধ নেই, কিন্তু মানুষ মারা যাচ্ছে এবং শান্তি নেই।’ তিনি জানান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তৎপর হয়ে গাজার ক্ষতি মূল্যায়ন, পুনর্গঠনের প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকভাবে শান্তি রক্ষায় কাজ শুরু করতে হবে এবং সেটিই যুদ্ধের পরবর্তী ধাপকে টেকসই করবে। তৎপরতায় দেরি হলে এ অসহায় ‘থেমে থাকা’ অবস্থাই আরও প্রাণহানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি। আনসারি বলেন, কাতার ও আঞ্চলিক দেশগুলো চাইছে, এই বাহিনী জাতিসংঘ সমর্থিত হোক। আলজাজিরা জানায়, যুদ্ধবিরতির মধ্যেও টানা চার দিন ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শনিবার রাতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হামাসের অভিযোগ, মৃত বন্দিদের দেহাবশেষ ফেরত দেওয়াকে ইস্যু করে যুদ্ধবিরতি পুরোপুরি ভেস্তে দিতে চাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
এদিকে ফিলিস্তিনিদের মাধ্যমে গাজা উপত্যকার নিরাপত্তা নিশ্চিত ও প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আজ (সোমবার) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। গতকাল তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা অংশ নেবেন। দ্য গার্ডিয়ান, রয়টার্স।