পার্টি বিরোধী কাজকর্ম ও পার্টির ভাবমূর্তি জনসমক্ষে হেয় করার অভিযোগে সিপিআইএম থেকে বহিষ্কৃত হলেন রেজ্জাক মোল্লা। সিপিআইএমের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার জানানো হয়, তার বিরুদ্ধে ১৯ ও ১৩ নম্বর উপধারা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে লক্ষণ শেঠের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পৃথক দল গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দেওয়ায় সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য রেজ্জাক মোল্লার বিরুদ্ধে এই শাস্তির খাঁড়া নেমে এল বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি দলের তরফ থেকে তাকে এই বার্তাও দেওয়া হলো যে, এখনও সিপিআইএমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যই শেষ কথা।
যদিও এই সিদ্ধান্তে নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই আজীবন বুদ্ধবিরোধী বলে পরিচিত রেজ্জাক সাহেবের। বহিষ্কারের খবর শুনে তার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘মোস্ট ওয়েলকাম।’
রেজ্জাক মোল্লার বক্তব্যে বারবার অস্বস্তিতে পড়েছে সিপিএম। তার আক্রমণের নিশানা থেকে বাদ পড়েননি বুদ্ধ-বিমানের মত প্রথম সারির নেতারাও। শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের আচরণের বিরুদ্ধে তিনি বারবার সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সম্প্রতি ঋতব্রতকে প্রসঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি প্রকাশ্যেই বিষোদগার করেছেন তিনি।
সামাজিক ন্যায় বিচার মঞ্চের কনভেনশন থেকে বামফ্রন্টের বাইরে বেরিয়ে প্রথম লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রেজ্জাক মোল্লা। আর এক বিতর্কিত সিপিআইএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠকে পাশে নিয়ে দল ভাঙার ইঙ্গিত দেওয়ায় প্রমাদ গোনে আলিমুদ্দিন।
দল গঠনের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন প্রসঙ্গেও দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি ক্যানিং পূর্বের এই বিধায়ক।
তার একের পর এক তোপের মুখেও সংখ্যালঘু ভোটবাক্সের কথা ভেবে এতদিন কোনও কড়া পদক্ষেপ নেয়নি আলিমুদ্দিন। কিন্তু এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে ও সুদূরপ্রসারী ফলাফলের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর।