নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিটি রাজনৈতিক দলগুলির কাছে ক্রমশই কদর বাড়ছে নারীদের। কারণ ৪৯ শতাংশ ভোট মহিলাদের হাতে। সুতরাং ভোটের বাজারে সেই বিপুল নারীশক্তিকে উপেক্ষা করার ঝুঁকি নিচ্ছে না কোনও রাজনৈতিক দলই। তাই এতদিন পর্যন্ত পিছনের সারিতে কোনও মতে গুঁজে দেওয়ার মহিলা সংক্রান্ত বিষয় এবারের নির্বাচনে স্থান পাচ্ছেন প্রথম সারিতে। রাজ্যে নারী নির্যাতন আর মেয়েদের সুরক্ষা নিয়ে যারা এতদিন নানা সুরে কথা বলতেন তাদেরও প্রচারের হাতিয়ার এখন নারী সুরক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলি।
ব্যারাকপুরের বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সুভাষিণী আলি এখন তাঁর নির্বাচনী কেন্দ্র ব্যারাকপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁর মতে মহিলারা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সেই অধিকারকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার কেউ নেই। সেদিকে গুরুত্ব সহকারে দেখা প্রয়োজন। ৪০ শতাংশ ভোটারদের অবজ্ঞা করা যে ঠিক হবে না, সেটা বুঝেছে সুভাষিণীর দলও। তাই চলতি লোকসভা নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে সিপিআইএম-এ। মথুরাপুর কেন্দ্রের বামফ্রন্ট প্রার্থী রিঙ্কু নস্করও নির্বাচনী প্রচারে গুরুত্ব দিচ্ছেন মহিলাকেন্দ্রিক নানা বিষয়কে। তিনি জানান, সিপিআইএম বরাবরই নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে।
বারাসাত কেন্দ্রের তৃণমুল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারেরও চোখ মহিলা ভোটের দিকে। যে কারণে প্রচারের শুরুতেই তিনি মহিলাদের নিয়ে কর্মীসভা শুরু করেছেন। তাঁর দাবি, আমাদের দল মহিলাদের নিয়ে সবসময়ই চিন্তা-ভাবনা করে। তৃণমূল কংগ্রেসই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৫০ শতাংশ প্রার্থী দিয়েছে, মহিলাদের নিয়ে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করেছে।
তৃণমূলের তারকা প্রার্থী বালুরঘাট কেন্দ্রের অর্পিতা ঘোষও তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নেওয়া মহিলা সর্ম্পকিত নানা উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্য তুলে ধরেছেন। অর্পিতা'র মতে মহিলাদের প্রতি বৈষম্য দূর করতে হলে মানুষের সু-প্রবৃত্তি জাগ্রত করতে হবে।