বাংলাদেশ-চীন-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম)-এর মধ্যে প্রস্তাবিত উপ-আঞ্চলিক জোটের অর্থনৈতিক করিডোর নির্মাণ হয়ে গেলে এই অঞ্চলের প্রভূত উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কলকাতায় নিযুক্ত গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কনসাল জেনারেল মা ঝান ইউ। আজ রবিবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁও শহরের একাধিক জায়গা পরিদর্শন করে একথা জানান চিনের কনসাল জেনারেল।
উল্লেখ্য, ২৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত এই অর্থনৈতিক করিডোরটি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে যশোর-ঢাকা-সিলেট হয়ে অসমের শিলচর হয়ে মিশবে মনিপুরের ইম্ফলে। এরপর তা মিয়ানমারের মন্দালয় হয়ে দক্ষিণ পশ্চিম চিনের কুনমিং প্রদেশে পৌঁছবে।
এদিন সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মা ঝান ইউ জানান ‘বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডর কলকাতা থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার হয়ে তা চীনে পৌঁছবে। ভবিষ্যতে এই করিডর তৈরি হয়ে গেলে বনগাঁও শহরের গুরুত্বও অনেক বেড়ে যাবে। সেক্ষেত্রে অনেক চীনা পর্যটক এই শহরে ভ্রমণ করতে আসবেন। পাশাপাশি চীন, বাংলাদেশ ও ভারতের অন্য অংশ থেকেও বিনিয়োগকারীরা এই শহরে এসে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবেন’।
বনগাঁও শহরের ভৌগলিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে চীনা কনসাল জেনারেল আরও জানান, ‘বনগাঁও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। ভৌগলিক দিক থেকে এর গুরত্ব অনেক বেশি। এই শহরের উপর দিয়েই কলকাতার সাথে ঢাকার যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। ঐতিহাসিক ভাবেও এই শহরের গুরুত্ব বেশি। আর সেই কারণেই আজ এই শহর পরিদর্শনে এসেছি’।
প্রসঙ্গত, বনগাঁও শহরের শেষ প্রান্তেই রয়েছে ভারত (পেট্রাপোল)-বাংলাদেশ (বেনাপোল) আন্তর্জাতিক সীমান্ত। দুই দেশের বাণিজ্যের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই স্থলবন্দরটি। এদিন দিনভর বনগাঁ মহাকুমার বিভিন্ন ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থানগুলি পরিদর্শন করেন চীনা কনসাল জেনারেল।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার