চলে গেলেন কিংবদন্তী চিত্র পরিচালক ঋত্তিক ঘটকের স্ত্রী সুরমা ঘটক। সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা নাগাদ কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ১১ দিন ধরে কলকাতার এম.আর. বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সুরমা। হাসপাতালে বেশিরভাগ সময়ই তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে।
মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল থেকে তার নিথর দেহ নিয়ে যাওয়া চেতলার বাসভবনে। আজ বিকালেই কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য হবে প্রয়াত সুরমা দেবীর।
তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকজ্ঞাপন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি জানান ‘কিংবদন্তী চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের পত্নী সুরমা ঘটকের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার সমবেদনা’।
গত বছরের মার্চে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন ঋত্বিক ঘটক ও সুরমা ঘটকের কন্যা সংহিতা ঘটক। তার আগে ২০০৯ সালে তাদের ছোট মেয়ে সুচিস্মিতার মৃত্যু হয়। রেখে গেলেন একমাত্র পুত্র রীতবন-কে।
স্বামী ঋত্বিক ঘটক অসাধারণ কিছু ছবি তৈরি করলেও তার অনেকগুলিই যোগ্য মর্যাদা পায়নি। দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে পাঁচ জনের সংসারে স্থায়ী আয় না থাকাতে সংসার চালাতেও যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হয়েছিল সুরমাকে। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় একটি স্কুলে চাকরি নিয়েছিলেন সুরমা। ১৯৫০’এর দশকের শেষে ঋত্বিক ঘটক যখন ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটি তৈরি করলেন, তখন নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে আরও বাড়িয়ে নিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেন সুরমা, যাতে কাজের বাজারে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। পরিবার সূত্রে খবর, এমনকি মৃত্যুর আগে সুরমা দেবীর হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কিত যাবতীয় খরচও সরকার বহন করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান