বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
২০ দলীয় জোটের মানববন্ধন

গুম-খুনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে : ফখরুল

গুম-খুনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কেবল নীরব থেকে গুম-খুন দেখলে আর চলবে না। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশের মানুষ অতীতেও গুম-খুন, অত্যাচার সহ্য করেনি এবারও করবে না।

গতকাল দুপুরে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান। নয়াপল্টনের নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল আরামবাগ মোড় পর্যন্ত এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যাপক তাসনীম আলম ছাড়াও গুম হওয়া বিএনপি ও জোটের ১১টি পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অপহরণ, গুম-খুন হত্যার মাধ্যমে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। বিরোধী মত দমন করতে সরকার সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। এ অবস্থার নিরসনে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অচিরেই কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ক্ষমতাসীন সরকারকে বাধ্য করা হবে। মির্জা আব্বাস বলেন, শুনতে পাচ্ছি ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে গুম-খুনের লিস্ট করা হচ্ছে। কাজেই আমাদের সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে গুম, খুন, অপহরণ ও রক্তপাত চলছে। অবিলম্বে এই খুনোখুনি বন্ধ করতে হবে। নিখোঁজ ছাত্রদল নেতা নিজামউদ্দিন মুন্নার সন্ধান দাবি করে তার বাবা শামসুদ্দিন আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ছেলেকে যদি না ফেরত দেন, তবে কোথায় তার লাশ পুঁতে রেখেছেন সেই জায়গাটা চিনিয়ে দেন। তাহলে আমরা কবর হিসেবে সেখানেই জিয়ারত করব। মানববন্ধনে অংশ নেন বিএনপির নিখোঁজ নেতা ইলিয়াস আলীর ছেলে অর্ণব। অর্ণব বলেন, '২৮ মাস হলেও বাবার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না আমরা। গুম করে রাজনীতি স্বাধীন দেশে চলে না। আমরা বাবাকে ফিরে পেতে চাই। নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বোন মারুফা ইসলাম, ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলামের মা হোসনে আরা বেগম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আদনানের বোন ফারহানা সুলতানা প্রমুখ বক্তব্য দেন। তারা প্রত্যেকে স্বজনহারার বেদনা ও নিজেদের কষ্টের কথা জানান।

মানববন্ধনে অংশ নেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, বেগম সেলিমা রহমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতউল্লা বুলু, রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, জয়নাল আবদিন ফারুক, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, খায়রুল কবীর খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, এমরান সালেহ প্রিন্স, শামীমুর রহমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েলসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাপা (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর