ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলার পুনর্বিচার (রিভিশন ট্রায়াল) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে সোনারিতে ১৮১ নম্বর বিএসএফের কেন্দ্রীয় ব্যাটালিয়নের বিশেষ আদালতে এ বিচারকাজ শুরু হয়। তবে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গেই সম্পন্ন হয়েছে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচারের প্রথম দিন। বিচার প্রক্রিয়াকে ঘিরে বিশেষ আদালতের বাইরে ছিল কঠোর নিরাপত্তা। গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি আশপাশের গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের যাতায়াতের ওপরও ছিল কড়া নজরদারি।
বিএসএফের ডিআইজি (কোচবিহার সেক্টর) ডি এস সান্ধা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুঠোফোনে বলেন, আজ (গতকাল) থেকেই এ মামলার পুনর্বিচার শুরু হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন বলে আর কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি। এদিকে অন্য একটি সূত্রে খবর, প্রথম দিনই অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। জবানবন্দিতে ওই দিনের ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই কনস্টেবল। যদিও এদিন হাজির ছিলেন না ফেলানীর পরিবারের কোনো সদস্য। তবে বিচারের সাক্ষ্য দিতে পরে ভারতে উপস্থিত থাকতে পারেন ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম, মামা হানিফ আলী, কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন ও কুড়িগ্রাম ৪৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করেন বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক সদস্য। বিএসএফ গুলিতে মৃত্যুর পর ফেলানীর লাশ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। ঝুলে থাকা দেহের ছবি সে সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে ছাপা হলে দেশ-বিদেশে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর তীব্র সমালোচনা করে। বাংলাদেশ সরকারও তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করে ভারতের কাছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১৩ আগস্ট ফেলানী হত্যা ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিএসএফ আইন অনুযায়ী জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বিচার হয়। অভিযুক্ত জওয়ানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ নম্বর ধারা (অনিচ্ছাকৃত খুন) এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর ওই আদালত উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় অমিয় ঘোষকে ‘নির্দোষ’ বলে সাব্যস্ত করেন। এ রায়ে বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে ভারতীয় হাইকমিশানরের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে মামলার পুনর্বিচারের আবেদন করেন ফেলানীর বাবা ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। গত আগস্টে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিএসএফ-বিজিবি মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকেও বিজিবির তরফে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার আর্জি জানানো হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এ পুনর্বিচার শুরু হলো।
শিরোনাম
- সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৫০১
- প্রায় ১৬০০ বার ভূমিকম্প, জাপানের দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে যাচ্ছেন বাসিন্দারা
- রিয়েল এস্টেট কেলেঙ্কারিতে ফের আইনি ফাঁদে মহেশ বাবু
- পায়রাবন্দে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্রে যুক্ত হলো ননি ফলের চারা
- স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর ঘেরাওয়ে ইউনানী শিক্ষার্থীরা
- হাসিনার এপিএস লিকুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
- রেকর্ড দশমবার কনক্যাকাফ গোল্ড কাপ জিতল মেক্সিকো
- ট্রাম্পের চড়া শুল্ক কার্যকর ১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত
- ‘৮ কেন, ১২ ঘণ্টাও কাজ করা যায়’: দীপিকাকে ঘিরে রাশমিকার মন্তব্যে তোলপাড়
- নদীতে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসাপড়ুয়া ২ শিশুর মৃত্যু
- চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ওপর জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
- সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন
- ডেমরায় হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
- টানা বৃষ্টিতে ঝিনাইদহে জনজীবন বিপর্যস্ত
- কুমিল্লায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
- লক্ষ্মীপুরে পিডিবির দুই কর্মকর্তাকে অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ
- মাস্ক ও গ্লাভস পরে বরবটি চাষে চমক!
- চ্যাটজিপিটিকে যে ৩ শব্দ না বলাই ভালো
- ৬৩ হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবিতে বগুড়ায় মানববন্ধন
- ইউটিউবে চালু হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নতুন নিয়ম
অবশেষে ভারতের আদালতে ফেলানী হত্যার পুনর্বিচার শুরু
দীপক দেবনাথ, কলকাতা
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর