বুধবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কত কথা কয় ময়না

মোস্তফা কাজল

কত কথা কয় ময়না

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ময়না পাখি কথা বলতে পারে। কথা বলতে পারে বলে দিন দিন এর কদর ও চাহিদা বাড়ছে। কথা বলতে পারা এক জোড়া ময়না পাখি বর্তমানে ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকায় কিনতে পাওয়া যায়। পাখিরা মানুষের মতো যে কথা বলতে পারে যারা টিয়া কিংবা ময়না পাখির কথা শুনেছেন তারা নির্দ্বিধায় বলতে পারবেন। অনেকে শখ করে ময়না পুষে থাকেন। এরা দেখতে  বেশ দৃষ্টিনন্দন। ময়না পাখি পাহাড়-টিলা ঘেরা বন পছন্দ করে। সিলেট ও চট্টগ্রামের বন জঙ্গলে এ পাখি দেখতে পাওয়া যায়। রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানী, গুলশান, বারিধারা ও ধানমন্ডির অনেক বাসা ও ফ্ল্যাটে এদের পুষতে দেখা যায়।

ময়না পাখির রং কালো। শরীরের কিছু অংশজুড়ে হলুদে রঙের। ঠোঁট কমলা-লাল। চোখের নিচে ও মাথার পেছনে হলুদ রঙের চওড়া রেখা রয়েছে। এ রেখার জন্য ময়নাকে খুবই সুন্দর দেখায়। পাখিটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি মিষ্টি এদের গলা। এমনকি এরা অন্য পাখির ডাকও নকল করতে পারে। গলায় তুলতে পারে নানা রকম বিচিত্র শব্দ। শীতকাল ছাড়া অন্য যে কোনো সময় ময়না বাসা তৈরি করে। পাহাড়-টিলার ফাঁকফোকরে এবং উঁচু গাছের কোটরে ঘাস-লতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। স্ত্রী ময়না একসঙ্গে দুই থেকে তিনটি ডিম পাড়ে, ডিমের রং নীলচে হয়। পুরুষ ও স্ত্রী ময়না পালাক্রমে ডিমে তা দেয়। ১৫ থেকে ১৭ দিন পর ডিম থেকে বাচ্চা ফোটে। বাচ্চারা চোখ ফোটার ১৫ দিন পর উড়তে পারে। এরা দলবেঁধে থাকতে পছন্দ করে। প্রভুভক্ত হয় ময়না পাখি। প্রভুর যে কোনো বিপদে-আপদে চিৎকার করে শক্রপক্ষকে ব্যস্ত রাখে। এরা পোকা-মাকড়, ছোলা, কচি পাতা খেতে পছন্দ করে। অনেক ময়না কলা ও কামরাঙ্গা থেতে ভালোবাসে। ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা ও গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ময়না পাখির দেখা মেলে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর