তখন বেলা ১১টা। সিলেটের আদালতপাড়ায় হাজির গণমাধ্যম কর্মীরা। ওই সময় ‘বদ’ হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। গণমাধ্যম কর্মীদের দেখেই বদরুল আলম চিৎকার করে নিজেই নিজের ফাঁসি দাবি করেন। একই সঙ্গে খাদিজাকে নিয়ে বিষোদগারও করেন তিনি। গতকাল রবিবার সিলেটের আদালতপাড়ায় বদরুল আলমের এমন আচরণ ছিল ‘টক অব দ্য টাউন’। আদালতে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার পরই বদরুল আলম গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে চিৎকার করতে থাকেন। তিনি খাদিজা বেগম নার্গিসকে ‘বেইমান, বিশ্বাসঘাতক, মোনাফিক, প্রতারক’ বলে অভিহিত করেন। খাদিজাকে ব্যঙ্গ করে বদরুল বলেন, ‘খাদিজার মতো মেয়ে হয় না, ও খুব ভালো!’ উত্তেজিত বদরুল নিজের ফাঁসির দাবিতে চিৎকার করে বলেন, ‘খাদিজার জয় হোক, আমার ফাঁসি হোক।’ আদালতপাড়ায় বদরুল আলমের এমন বক্তব্য গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সিলেট নগরীতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ বদরুলের এমন মন্তব্যকে ‘বদের বদকাজ’ বলেও অভিহিত করেছেন। এদিকে গতকাল কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আরও ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষীরা সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য তারিখে খাদিজাকে হাজির করার নির্দেশ দেন। আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান জানান, খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় যে ১৫ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, মা মনোয়ারা বেগম, বদরুলের জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা, ওসমানী হাসপাতালের ডাক্তার আতাউল গণি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ প্রমুখ। এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেছিলেন। সব মিলিয়ে ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো। তিনি আরও জানান, আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন। ওই দিন স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং খাদিজাকে আদালতে হাজির করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন এবং ২৯ নভেম্বর বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। পরে শাবি থেকে বদরুলকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়।
শিরোনাম
- বগুড়ার সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুকের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- এখন কত সম্পত্তির মালিক কোহলি-আনুশকা?
- অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৫৭৯ কর্মকর্তা
- ‘দেশের এক ইঞ্চি দখলের চেষ্টা করলে হাত ভেঙে দিতে দ্বিধাবোধ করবো না’
- স্বার্থান্ধতার কারণে দেশের রাজনীতি আজ লক্ষ্যচ্যুত : সেলিম উদ্দিন
- ‘পুষ্পা ২’ শো শেষে সিনেমা হল থেকে মরদেহ উদ্ধার
- পিরোজপুরে আরেক মামলায় তারেক রহমানকে অব্যাহতি
- নেত্রকোনায় পিআইডির সেমিনার অনুষ্ঠিত
- দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান
- শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের
- অবসরে গেলেন বিচারপতি জিয়াউল করিম
- কুলাউড়ায় প্রকল্পের টাকা ছাত্রলীগ নেতার পেটে, ফেরত দিতে চিঠি
- ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টে খালাস চাইলেন লুৎফুজ্জামান বাবর
- ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দুই নেতা গ্রেফতার
- ঐতিহ্যবাহী সাম্পানে আইসিসির চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
- নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস পালিত
- শীতকালেও সানস্ক্রিন : কতবার এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন?
- নিজের তৈরী অণুজীব সার ব্যবহারে সফল কৃষক আজহারুল
- বাসে গ্যাস রিফিলের সময় বিস্ফোরণ; নিহত বেড়ে ২
- এক ওভারে পাঁচ ছক্কা, ৫২ বলে সেঞ্চুরি জিসানের
প্রকাশ:
০০:০০, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৬
আপডেট:
খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলা
নিজের ফাঁসি দাবি করলেন বদরুল
শাহ দিদার আলম নবেল, সিলেট
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর