জঙ্গি মতবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য পড়তে দেওয়া হয় ৫৫টি জিহাদি বই। এসব বইয়ের কয়েকটি পড়লেই একজন নাগরিক সাধারণ মানুষ থেকে পরিণত হয় দুর্ধর্ষ জঙ্গিতে। উগ্র মতবাদের এসব বইয়ের মধ্যে সাতটিই জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদীর লেখা। এসব বইয়ের পাশাপাশি পড়তে দেওয়া হয় কোরআন এবং হাদিসের অপব্যাখ্যা করা শত শত অনুবাদ। বুনিয়াদি এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মস্তিষ্ক ধোলাই সম্পন্ন হয়ে যায়। প্রশিক্ষিত ব্যক্তি পরিণত হয় দুর্ধর্ষ জঙ্গিতে। নব্য জেএমবির আস্তানা থেকে জব্দ করা নথিতে এমন তথ্য পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘জেএমবি আস্তানা থেকে একটি সিলেবাস জব্দ করা হয়। সেই সিলেবাসে ৫৫ জিহাদি বইয়ের নাম রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা স্বীকার করেছে ওই বইগুলো পড়িয়ে ব্রেইন ওয়াশ করা হয়।’ তিনি জানান, এ বইগুলোর মধ্যে কিছু প্রকাশ্যেই বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বিক্রি হয়। দেশের স্বার্থে এসব বই নিষিদ্ধ করা উচিত। জানা যায়, একজন সাধারণ ব্যক্তিকে মস্তিষ্ক ধোলাই করে জঙ্গিতে পরিণত করতে জেএমবির সিলেবাসভুক্ত ৫৫টি উগ্র মতবাদের জিহাদি বই পড়তে দেওয়া হয়। এসব বইয়ের অন্যতম হচ্ছে—দ্বীন কায়েমের পদ্ধতি, দ্বীন কায়েমের সঠিক আকিদা, আর রাহিকুল মাখতুম, মুজাহিদের আজান, মরণজয়ী মুজাহিদ, গজনবীর দেশ থেকে সোমনাথের পথে, মুসলমানদের সামরিক শক্তি অর্জনের প্রয়োজনীয়তা কেন?, জিহাদ সন্ত্রাস না রহমত, জিহাদের চল্লিশ হাদিস, খুন রাঙ্গা আরাকান, আদর্শ কীভাবে প্রচার করতে হবে, সীমান্ত ঈগল, ক্রুসেড, আমরা সেই জাতি প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড, কারাগারের রাতদিন, বিশ্বায়ন তাগুত খিলাফাহ, শাহদাত অনির্বাণ, মুজাহিদের সংলাপ, বখতিয়ারের তলোয়ার, ইসলামী সমাজ বিপ্লব ধারা-কুতুব শহীদ, শহীদদের আত্মজীবনী, সন্ত্রাস ও জিহাদ। এসব বইয়ের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর লেখা— আল জিহাদ, জিহাদের হাকিকত, সুদ ও আধুনিক ব্যাংকিং, ইসলাম ও আধুনিক অর্থনৈতিক মতবাদ, পর্দা, ইসলামের দৃষ্টিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ, ইসলামী আন্দোলনে সাফল্যের শর্তাবলি অন্যতম। বই ছাড়াও প্রতিমাসে অপব্যাখ্যা করা কমপক্ষে ১৫০টি হাদিস এবং কোরআনের আয়াতের অনুবাদ পড়তে দেওয়া হয়। সিলেবাস অনুযায়ী বই পাঠ সমর্থক থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের জন্য বাধ্যতামূলক। এসব বই নির্দেশনা মতো পড়ছে কিনা তা তদারকি করতে নির্দিষ্ট একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রতি মাসে একটি করে পাঠচক্র ও সামষ্টিক পাঠের আয়োজন করা হয়। এ পাঠচক্রে সিলেবাস অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হয়। প্রতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়। ওই পাঠচক্রে সর্বোচ্চ ১০ জন অংশগ্রহণ করে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কী পরিমাণ বই পড়েছে তারও একটি হিসাব দিতে হয় পাঠচক্রে। আর সামষ্টিক পাঠ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে হয়। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে দেওয়া হয় পদোন্নতি। সাথী হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তিনজন করে সমর্থক ও সুধী তৈরি করার টার্গেট দেওয়া হয়। এ ছাড়া একজন সাথীকে প্রতি মাসে একজন করে সমর্থক ও সুধী তৈরি করার টার্গেট দেওয়া হয়।
শিরোনাম
- উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
- বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
- মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
- হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
- বাংলাদেশি সমর্থকরা শীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
- বয়স্কদের সুষম খাদ্য
- কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
- কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
- পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
- ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
- ২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
- আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় ইংল্যান্ডের
- ওষুধের আগ্রাসী বিপণনে ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘন
- রোনালদোকে ছাড়াই আল-নাসরের গোল উৎসব
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
- অস্ট্রেলিয়া সিরিজে নেই স্যান্টনার, দায়িত্বে ব্রেসওয়েল
- নতুন অ্যালবামে প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে অর্থহীন
- শেষ মুহূর্তের নাটকীয় গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল লিভারপুল