বৃহস্পতিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ভোটের হাওয়া সারাদেশে

আয় কমেছে রওশন এরশাদের, কোটিপতি হয়েছেন শরীফ-তুহিন

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের আয় কমেছে। আগের নির্বাচনে রওশনের বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। কিন্তু এবার জমা দেওয়া হলফনামায় রওশন বলেছেন তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪০১ টাকা। তবে তার ব্যাংকে জমা আছে কোটি কোটি টাকা। পাশাপাশি আয় কমেছে ময়মনসিংহ-৮ আসনের ফখরুল ইমামের। অন্যদিকে কোটিপতি হয়ে গেছেন গত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হওয়া ময়মনসিংহ-২ আসনের শরীফ আহমেদ ও ময়মনসিংহ-৯ আসনের আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন।

হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, রওশন এরশাদ এবং ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইমামের আয় কমেছে। আগের নির্বাচনে রওশনের বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৬ হাজার ৪৮৪ টাকা। তবে এবার তার বার্ষিক আয় ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪০১ টাকা। রওশন এরশাদের আয়ের সঙ্গে কমেছে অস্থাবর সম্পত্তিও। ৩৩ কোটি ১৬ লাখ ৮২ হাজার ৭৯২ টাকা অস্থাবর সম্পত্তি আগে থাকলেও এখন রয়েছে ৪ কোটি ৭৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৮৩ টাকার। আর গত নির্বাচনে ফখরুলের বার্ষিক আয় ছিল ২৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। তবে এবার তার বার্ষিক আয় ২৩ লাখ ৫১ হাজার ২৩০ টাকা। সে হিসেবে তার আয় কমেছে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১৪৪ টাকা। তবে তিনি ১ কোটি টাকা দায় কমিয়ে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৬০ হাজার ৬৬৮ টাকায় এনেছেন। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে শরীফ আহমেদের বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার। এমপি হবার পর এই সংসদ সদস্যের বার্ষিক আয় ২২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। তখন অস্থাবর কোনো সম্পত্তিও ছিল না শরীফের। তার স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ ছিল। কিন্তু এখন অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৫৮ হাজার ৯২৭ টাকা। অনেকটা একই অবস্থা ময়মনসিংহ-৯ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিনের। গতবার তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এবার তার আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ টাকা। এখন তার নগদ টাকাই রয়েছে ১ কোটি ২৩ লাখ ৮ হাজার ৮২৪ টাকা। আর স্ত্রীর আছে ৩২ লাখ ২২ হাজার ৬৮১ টাকা। ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার অস্থায়ী সম্পদ আগে থাকলেও এখন হয়েছে ২ কোটি ৯ লাখ ২৫ হাজার ৭৬৭ টাকা এবং স্ত্রীর ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ৩৮১ টাকা। স্থাবর সম্পদও বেড়েছে ২৪ লাখ টাকার বেশি।

সর্বশেষ খবর