দেশের নিম্ন আদালতগুলোতে বর্তমানে দেড় লক্ষাধিক নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ হাজার মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে আদালতে পড়ে থাকলেও নিষ্পত্তি করা যায়নি। এছাড়া শিশু কর্তৃক সংঘটিত অপরাধে দায়ের করা প্রায় ২৫ হাজার মামলাও আছে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলা দায়ের বেশি, বিচারক সংকট, সাক্ষী গরহাজিরসহ নানা কারণে দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়েরকৃত এসব মামলা। সুপ্রিম কোর্টের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৯৫টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ১ লাখ ৬০ হাজার ৭৫১টি। গত বছর সারা দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে ১১ হাজার ৭৪৫টি। আর নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩ হাজার ১১টি মামলা। এদিকে শিশু আদালতে বিচারাধীন মামলা আছে ২৪ হাজার ৬৭১টি। তবে শিশু আইনে সংশোধনী আনায় এখন এসব মামলার বিচার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালেই হবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা নিষ্পত্তির হার বেশি ছিল। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩ হাজারের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হলেও ২০১৭ সালে নিষ্পত্তি হয়েছিল সাত হাজার ৯৭৬টি মামলা। নতুন ৪১ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কারণেই এসব আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে বলে মনে করেন আইনজ্ঞরা। আইন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যেসব জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল রয়েছে, তার মধ্যে মামলার জট বিবেচনায় ২২ জেলায় নতুন করে আরও ২৯টি ট্রাইব্যুনাল এবং যেসব জেলায় এই ট্রাইব্যুনাল নেই, তার মধ্যে ১২ জেলায় একটি করে ১২টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। এই ৪১টি ট্রাইব্যুনাল গঠনের আগে দেশের ৪৬ জেলায় ৫৪টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালিত হতো। বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ ও মামলাজটের বিষয়টি লক্ষ্য করে ২০১৫ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সারা দেশে নতুন ৪১টি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের সুপারিশ করে। এরপর আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত এপ্রিলে নতুন ৪১ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নতুন ৪১টি ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব ট্রাইব্যুনালে নতুন মামলা দায়েরের পাশাপাশি পুরনো ট্রাইব্যুনাল থেকেও মামলা স্থানান্তরিত হচ্ছে। নতুন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত মামলা আরও দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনজীবী ইমতিয়াজ আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলাগুলো অন্য মামলার তুলনায় একটু ভিন্ন। তাই এ মামলাগুলোতে গুরুত্বও বেশি দিতে হয়। বিচারক, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগ থাকলে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শুরুতে ৫৪টি ট্রাইব্যুনালে এসব মামলার বিচার চলত। এখন সরকার আরও ৪১টি নতুন ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে। ফলে মামলার নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। আরও ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে মামলা নিষ্পত্তির হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন তিনি।
শিরোনাম
- শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট আসক্তি ও বই পড়ার আগ্রহ বিষয়ে ফকিরহাটে শুভসংঘের আলোচনা সভা
- স্ন্যাপচ্যাটে নতুন দুই ফিচার চালু
- সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা
- যশোরে কোটি টাকার স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক
- বাজারে এলো সাশ্রয়ী মূল্যের ‘আকিজ ড্রিংকিং ওয়াটার’
- ৫ দিনের রিমান্ডে স্বাস্থ্যের ঠিকাদার মিঠু
- লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
- উখিয়ায় বন্যহাতির রহস্যজনক মৃত্যু
- যুক্তরাষ্ট্রে দ্বীপে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক
- বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নতুন বাহিনী ‘এয়ার গার্ড’
- মোংলায় ইয়াবাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক
- হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচারে বদলাবে গ্রুপ চ্যাটের ধরণ
- বাংলাদেশি সমর্থকরা শ্রীলঙ্কার জয়ের অপেক্ষায় রয়েছে : শানাকা
- গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা, নিহত ছাড়াল ৬৫ হাজার
- বয়স্কদের সুষম খাদ্য
- কর্মক্ষেত্রে হেনস্থার জেরে আত্মহত্যা, ৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ
- কঙ্গোতে ইবোলার নতুন প্রাদুর্ভাব, আতঙ্কে সাধারণ মানুষ
- পুঁজিবাজার: সূচকের ওঠানামায় চলছে লেনদেন
- ট্র্যাপিস্ট-ওয়ানই গ্রহ নিয়ে নতুন আশা জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের
- ২০ কোটি বছরের পুরনো কোয়েলাক্যন্থ জীবাশ্ম শনাক্ত
নিষ্পত্তির অপেক্ষায় দেড় লক্ষাধিক নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা
৩৭ হাজার মামলা ঝুলছে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে
আরাফাত মুন্না
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর