চিকিৎসকদের দায়িত্বে চরম অবহেলা এবং কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে সদ্য ১০০ থেকে আড়াইশ’ বেডে উন্নিত হওয়া বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা একবারেই ভেঙে পড়েছে। জেলার বিভিন্নস্থান থেকে প্রতিদিনই চিকিৎসার জন্য আসা রোগীরা বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছেন এ হাসপাতাল থেকে। কর্তৃপক্ষের চরম দায়িত্বহীনতা ও গাফিলতির কারণেই রোগীরা সেবাবঞ্চিত থাকছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মূল্যবান ওষুধপত্র বাইরে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বিনাছুটিতেই বেশিরভাগ চিকিৎসক কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। চিকিৎসকদের নাকি হাত লম্বা এবং শক্ত সংগঠন আছে-তাই পত্রিকায় লিখেও কোনো লাভ নেই, যেনতেনভাবেই চলছে চিকিৎসকদের কর্মকা ,এসব দম্ভোক্তি কয়েকজন চিকিৎসকের। জেলা সদরে ২টি বেসরকারি হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকেই মূলত সদর হাসপাতালের কিছু চিকিৎসকের দম্ভ বেড়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা। জানা যায়, প্রতিদিন হাসপাতালে বিপুলসংখ্যক শিশুসহ নারী-পুরুষ চিকিৎসার জন্য আসেন। রোগীদের স্বজনরা কোনো চিকিৎসককে কর্মস্থলে না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হন। এমনকি কখনো কখনো বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের উপস্থিতি মেলে না, এ সময় চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন রোগীসহ তাদের স্বজনরা। বিক্ষুব্ধ রোগী ও রোগীদের স্বজনরা হাসপাতাল ভাঙচুরের চেষ্টাও চালায় কয়েকবার। হাসপাতাল কর্মচারীদের সঙ্গে চলে বাকবিত াও। চিকিৎসার জন্যে আসা সাগেরা বেগম, আহাম্মদ হোসেন, মনির আহাম্মদ, আইরিন বম ১২ ফেব্রুয়ারি টিকিট সংগ্রহ করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও কোনো চিকিৎসককে উপস্থিত না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় ফিরে যান এমন অবস্থা প্রতিদিনের। হাসপাতালের কার্যতালিকা মতে প্রতিদিন গড়ে ৮ জন মেডিকেল অফিসার এবং ৫ জন কনসাল্টেন্ট উপস্থিত থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে জরুরি বিভাগে ১ জন, বহির্বিভাগে ১ জন এবং আন্তঃবিভাগে ১ জন করে চিকিৎসককে দেখা যায়। রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাঝে মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা হাসপাতালে যান, তবে তেমন সমাধান মিলে না। কখনো কখনো একসঙ্গে ৭ চিকিৎসকের কর্মস্থলে অনুপস্থিতির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেন না। তারা চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির জন্য সাময়িক সমস্যার কথা স্বীকার করে থাকেন। অভিযোগ উঠেছে,৩৩ ও ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা শেষে একযোগে ৩৮ জন চিকিৎসককে বান্দরবান জেলায় নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা উচ্চ পর্যায়ে চেষ্টা-তদবিরের মাধ্যমে কথিত প্রশিক্ষণ বা ভালো জায়গায় পোষ্টিং নিয়ে চলে যায় ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যেই।
শিরোনাম
- এসএসসিতে ফেল : বরিশালে পাঁচ ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, দুইজনের মৃত্যু
- এসএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস না পেয়ে বগুড়ায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- টানা বৃষ্টির প্রভাব রাজধানীর বাজারে
- এসএসসিতে অকৃতকার্য হওয়ায় গেন্ডারিয়ায় শিক্ষার্থীর 'আত্মহত্যা'
- সেই আলফি পাস করেছে
- এনবিআরের প্রথম সচিব তানজিনা বরখাস্ত
- ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্য অটুট রাখার আহ্বান মামুনুল হকের
- দুদকের মামলায় জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বারকাত গ্রেফতার
- মাকে মারধর করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল স্বজনরা
- ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে আরও বিনিয়োগে জেলেনস্কির আহ্বান
- আবারও ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হুথিদের
- কুয়ালালামপুরে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিরল বৈঠক
- লঙ্কানদের ১৫৫ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল টাইগাররা
- ট্রাম্পের লবিস্টদের লাখ লাখ ডলার দিচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো
- নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সহযোগিতার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে সম্প্রচার-ব্যবস্থা যুগোপযোগী করা হবে : তথ্য উপদেষ্টা
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- কারাগারে একক সেলে নেওয়া হলো সাবেক আইজিপি মামুনকে
- উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা আবশ্যক : প্রধান উপদেষ্টা
- নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধনের নির্দেশনা বাতিল
তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা
বিনা চিকিৎসায় ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা
বান্দরবান সদর হাসপাতাল
কবির হোসেন সিদ্দিকী, বান্দরবান
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর