শিরোনাম
শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

বিনা ভোটে ৯০ জনপ্রতিনিধি

মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচার ♦ মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ♦ রাতে সিল মারার শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিনা ভোটে ৯০ জনপ্রতিনিধি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ করা হবে আগামীকাল। ১০৭ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। গতকাল মধ্যরাতে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটের পরে দুই দিন মাঠে থাকবেন তারা। আজ কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনী মালামাল পাঠানো হবে। সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী (উপজেলায়) এলাকায় ভোটের দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, চতুর্থ ধাপের ১৫টি উপজেলায় তিনটি পদেই একক প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রয়েছেন। এদের সংখ্যা ৯০। এর মধ্যে চেয়ারম্যান ৪০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২৩ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান ২৭ জন। ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। কিছুটা উত্তেজনা রয়েছে নির্বাচনী এলাকায়। বিগত তিনটি পর্বের মতো কাল রবিরার ৩১ মার্চের নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা না গেলেও চতুর্থ দফার ভোট নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভোটের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে। সব দল উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপের ভোটে রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সহিংস ঘটনার পরে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কাল ৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে ১২৮ উপজেলায় ভোটগ্রহণের কথা ছিল। আইনি জটিলতা ও অনিয়মের কারণে ৬ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট হয় ১০ মার্চ। এরপর ১৮ মার্চ দ্বিতীয় এবং ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপের ভোট হয়। রবিবার হবে চতুর্থ ধাপের ভোট। ১৮ জুন শেষ ধাপের ভোটে শেষ হবে এবারের উপজেলা নির্বাচন। ২০১৪ সালে এর আগের নির্বাচনেও পাঁচ ধাপে ভোট হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই ধাপে; শেষে ব্যবধান বাড়িয়ে বেশিরভাগ উপজেলায় জয় পায় আওয়ামী লীগ। তার আগে ২০০৯ সালে ২২ জানুয়ারি এক দিনেই দেশের সব উপজেলায় ভোট হয়। তাতে ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এবারের উপজেলা নির্বাচনে দুই শতাধিক প্রার্থীর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলছেন, যা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, তা নির্বাচন হয় কী করে!

সর্বশেষ খবর