মাদারীপুরের শিবচরে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে। গত রাতে শিবচরের উৎসব একাত্তর নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে এই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেল ম্যানেজার রোনাল্ড, হোটেল বয় খায়রুল এবং রুবেল খানকে পুলিশ আটক করেছে। গণধর্ষণে নিহত কিশোরী পৌর এলাকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকালে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে শিবচরের পৌর মেয়র আওলাদ হোসেনের মালিকানাধীন উৎসব একাত্তর হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয় রুবেল খান। এ সময় ওই কক্ষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রুবেল। পরে একই হোটেলের ম্যানেজার রোনাল্ড এবং হোটেল বয় খায়রুলও কিশোরীকে ধর্ষণ করে। স্থানীয়রা টের পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শিবচরের কাঁঠালবাড়ী এলাকার তোতা খানের ছেলে রুবেল খান এবং হোটেলের ম্যানেজার রোনাল্ড এবং হোটেল বয় খায়রুলকে আটক করে। বাগেরহাটে আরেক লাশ : বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটে খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় লামিয়া আক্তার ফারিয়া (৭) নামে প্রথম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রামবাসী একজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে পুলিশ ও গ্রামবাসীর ধারণা। গত রাত ৮টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের দিঘিরজান খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশু লামিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ফারিয়া আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে ও স্থানীয় কোন্ডলা বড়ু বিবি দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী। এ ছাড়া আটক মিনহাজুল ইসলাম শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ইমনের ছেলে।
