রাজধানীর মিরপুর থানার রূপনগরের একটি ভবনের পঞ্চমতলা থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতককে ফেলে দেওয়া সেই কিশোরী মাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে (বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় নাম প্রকাশ করা হলো না)। গত শনিবার ওই নবজাতককে ফেলে দিলে সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার পর আশপাশের ভবন তল্লাশি করে হত্যাকারী কিশোরী মাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় রূপনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৪ জনের মধ্যে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে মাকে। জানা গেছে, শনিবার রাতেই কিশোরী মাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এরপর বেরিয়ে আসে ঘটনার মূল রহস্য।
পুলিশ জানায়, নবজাতকের মা এ বছর মণিপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেছে। থানায় জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি জানায়, তার মা দুই বিয়ে করেছে। সে মায়ের প্রথম স্বামীর সন্তান। ওই বাসায় মা ও সৎবাবা শাহ আলমের সঙ্গে থাকত। শাহ আলমের ছোট ভাই বিল্লাল হোসেন বিদেশে থাকেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে কয়েক মাসের জন্য রূপনগরের এ বাসায় ছিলেন। সে সময় তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কারণে গর্ভবতী হয় সে। এরপর মা-বাবা তাকে গর্ভপাতের জন্য চাপ দেয়। শুক্রবার ভোরে মেয়েটির প্রসব বেদনা ওঠে এবং শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় টয়লেটে গিয়ে সে নিজেই সন্তান প্রসব করে। নবজাতকটি পৃথিবীতে আসার ৩০ মিনিট পর অর্থাৎ ১২টার সময় তাকে টয়লেটের ভেন্টিলেটর দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় মেয়ের মা, সৎ বাবা শাহ আলম ও তার ছোট ভাই বিল্লাল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হলেও তার মা বর্তমানে গর্ভবতী এবং দ্বিতীয় স্বামীর ঘরের একটি ছোট ছেলে থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে তিনি নজরদারিতে থাকবেন।
