শিরোনাম
শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

খোঁজা হচ্ছে এনআইডি জালিয়াত চক্র

প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ৪৫ কর্মকর্তা

গোলাম রাব্বানী

খোঁজা হচ্ছে এনআইডি জালিয়াত চক্র

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি, সংশোধন জালিয়াতিসহ কয়েকটি ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংশোধনীর আবেদন নির্বাচন কমিশন বাতিল করার পরও কীভাবে  ভোটারের তথ্য সংশোধন হয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে, ফাইল অনুমোদনসাপেক্ষে টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা এই সংশোধনীর কাজ করেন। সব মিলে ইসির কর্মকর্তাসহ ৪০-৪৫ জন সংশোধনীর ক্ষমতা রাখেন। এজন্য জালিয়াতির নানা ঘটনায় এসব কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, ফাইল অনুমোদন থেকে সংশোধন পর্যন্ত বড় কোনো জালিয়াত চক্র আছে কিনা তা খোঁজা হচ্ছে। এই চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনীর ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের টাকাও নিচ্ছে। আইটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কখন, কোথায়, কীভাবে সংশোধন হচ্ছে সব তথ্য পাওয়া সম্ভব। এজন্য শুধু সদিচ্ছার প্রয়োজন। হয়তো বড় কোনো কর্মকর্তা এই জালিয়াত চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

এদিকে নির্বাচন কমিশন বাতিল করার পর বরিশালের একজন  ভোটারের আবেদন সংশোধন করার ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।  সেই সঙ্গে এনআইডি সেবা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাঠ কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে এক রোহিঙ্গা নারীর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি এবং তার তথ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্যভা ারে সংরক্ষিত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়। এ ছাড়া নোয়াখালী এলাকার একজন ভোটারের নিবন্ধন ফরমে ঠিকানা, বাবা-মায়ের এনআইডি নম্বর, ভোটার শনাক্তকারী ও সুপারভাইজারের স্বাক্ষর না থাকার পরও তিনি ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চট্টগ্রামের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করার প্রস্তাব ইসির কাছে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, তা অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নির্ধারিত কতগুলো ধাপ পার হওয়ার পর নতুন  নিবন্ধিত ভোটারের তথ্য, আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ দেওয়ার পর তা ইসির তথ্যভান্ডারে চেক করা হয়;  রোহিঙ্গা কি না তাও যাচাই করা হয় কারিগরি প্রযুক্তির সহায়তায়।  রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার ভোটার হলে তাকে আরও বেশি কিছু দলিল ও যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে যেতে হয়। তাই কোনো রোহিঙ্গা  ভোটার হতে পারার কথা নয়। সেক্ষেত্রে অসাধু স্থানীয় লোকজন ও নিবন্ধনে যুক্ত কেউ তাদের সহায়তা করতে পারে।

সর্বশেষ খবর