শিরোনাম
শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা

পাখির প্রতি ভালোবাসা

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

পাখির প্রতি ভালোবাসা

পাখির আশ্রয়স্থল তৈরি করে দিচ্ছেন এই তরুণরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাখিকে ভালোবেসে এদের রক্ষা ও বংশবৃদ্ধির এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে ভালুকার একদল তরুণ। ‘পাখি বাঁচাও, পরিবেশ বাঁচাও’ স্লোগান সামনে রেখে এ উদ্যোগের মূলে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল। তার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অভ্যুদয়’-এর সদস্যরা। এ লক্ষ্যে তারা পাখির জন্য গাছে গাছে বাসা তৈরি করে দিচ্ছেন। গত ৪ আগস্ট এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাখির বংশবিস্তার, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের বাঁচাতে এ ব্যতিক্রমী কাজের উদ্যোক্তা ভালুকা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামালের আহ্বানে কঠিন কাজটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছেন অভ্যুদয়ের সদস্যরা। তারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছের ডালে ডালে মাটির হাঁড়ি বাঁধছেন। সকাল থেকে  বিকাল পর্যন্ত উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে ২৬ দিনে পাঁচ  হাজার পাখির নিরাপদ আবাসন স্থাপন কার্যক্রম এরই মধ্যে সম্পন্ন করেছেন তারা। পর্যায়ক্রমে তারা উপজেলার বাকি আরও ৮টি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

অভ্যুদয়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, ‘দিন দিন আমাদের দেশ পাখিশূন্য হয়ে পড়ছে। বিষয়টি আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল উপলব্ধি করতে পেরেছেন। এটা অত্যন্ত মহৎ ও প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ। আমরা অভ্যুদয়ের স্বেচ্ছাসেবীরা আনন্দের সঙ্গেই কাজটি করছি। পাখির জন্য কিছু করতে পেরে নিজেদেরও খুব গর্বিত মনে করছি। এরই মধ্যে আমাদের স্থাপনকৃত হাঁড়িতে পাখিরা বাসা বাঁধতে শুরু করেছে।’

স্থানীয় শিক্ষক ও সমাজকর্মী শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের দেশে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এ প্রাণীটি অত্যন্ত অবহেলিত। এত বৃহৎ পরিসরে মহৎ এ উদ্যোগের উদ্যোক্তা ইউএনও মাসুদ কামাল ও অভ্যুদয়ের স্বেচ্ছাসেবীদের আমি অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ কামাল বলেন, ‘দিন দিন আমাদের দেশের বন-জঙ্গল মারাত্মকভাবে উজাড় হচ্ছে। এতে দেশ দিন দিন পাখিশূন্য হয়ে পড়ছে। পাখির বংশবিস্তার, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। পাখি আমাদের জন্য উপকারী হলেও অবহেলিত একটি জীব। তাই গোটা উপজেলার জঙ্গলে জঙ্গলে ও নির্জন স্থানে পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল স্থাপনের পরিকল্পনা করেছি। আমার আহ্বানে কঠিন এ কাজটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভ্যুদয়ের সদস্যরা। সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা গত ৪ আগস্ট থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে এ কঠিন কাজটি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন’।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর