বগুড়ার সোনাতলায় এবার ইরি, বোরো, আউশ, আমন ধান খেতের পাশাপাশি আলু ও মরিচ চাষে স্বল্প খরচে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সেচ সুবিধা দেবে ছালেক সোলার ওয়াটার পাম্প। বিদ্যুৎ সুবিধা নেই উপজেলার এমন ৫০ এলাকার কৃষককে স্বল্প খরচে সেচ সুবিধা দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়াধীন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের তদারকিতে ছালেক সোলার লিমিটেড ওয়াটার পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এতে সরকারের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। সাত-আট বছর যাবৎ ইরি, বোরো, আউশ, আমন ধানের জমিতে কৃষক সেচ সুবিধা দিত। এবার মরিচ ও আলু খেতে সেচ সুবিধা দিতে পারবে। সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে স্বল্প খরচে এই পদ্ধতির সুফল পেয়ে কৃষক এতে ঝুঁকে পড়েছে। সোনাতলার উত্তর কালাইহাটা গ্রামের জাহিদুর রহমান, শাখিলার নজরুল ইসলাম, তেকানীর এনামুল কবীর ও ফুলবাড়ীর তোজাম্মেল হোসেন জানান, ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দিতে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। মেশিন মালিককে সেচ বাবদ চার ভাগের এক ভাগ ফসল দিতে হয়। সে তুলনায় সোলার ওয়াটার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচে তুলনামূলক খরচ কম। ছালেক সোলার ওয়াটার পাম্প লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ছালেক মিয়া জানান, কৃষকের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের সহযোগিতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ কাজ চলছে।