বিদেশি বিনিয়োগের মন্দা কাটেনি সদ্য বিদায়ী বছরেও। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) খসড়া হিসাব অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারের সামান্য বেশি, যেখানে পঞ্জিকা বছর অনুযায়ী ২০১৮ সালে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ বিগত বছর অনেকখানিই পিছিয়ে পড়েছে। অথচ বিদায়ী ২০১৯ সালে টার্গেট ছিল ৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগের। ফলে ওই বছর কর্মসংস্থানেও কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি হয়নি। এর জন্য বৈশ্বিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং চীন-আমেরিকার মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধকেই দায়ী করা হয়েছে। জাতিসংঘের শিল্প উন্নয়ন সংস্থা আঙ্কটাড আগের বছরই বলেছিল, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী বিদেশি বিনিয়োগ শ্লথ হবে। বছর শেষে এরই ফল পাওয়া গেছে। বিদায়ী বছরে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোতেও তুলনামূলকভাবে বিদেশি বিনিয়োগের গতি কমেছে বলে জানা গেছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যেই এর চূড়ান্ত হিসাব পাওয়া যাবে বলে বিডা সূত্রে জানা গেছে। বিডার নির্বাহী সদস্য (ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন) নাভাস চন্দ্র ম-ল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রতিবছরই আমাদের একটা টার্গেট থাকে। কিন্তু বাস্তবতা থাকে ভিন্ন। কেননা বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিও এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সেই সঙ্গে অবকাঠামোর উন্নয়ন, সংশ্লিষ্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ, বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধাসহ অন্যান্য বিষয় নির্ভর করে। বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অনেকগুলো বৃহৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্প সমাপ্ত হলে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। গত বছর ১২ জুন আঙ্কটাড প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৮ সালে বাংলাদেশে এফডিআই এসেছিল রেকর্ড পরিমাণ ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ সদ্য বিদায়ী বছরে এসেছে মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ। এদিকে বিদেশি বিনিয়োগ কমার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) থেকে বলা হয়েছে, আগের বছর জাপান টোব্যাকো কর্তৃক ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকোয় ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করায় সে বছর অধিক হারে বেড়েছিল বিদেশি বিনিয়োগ। এ বছর এ রকম কিছু না ঘটায় কম দেখাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ। তবে আগের বছরের তুলনায় সর্বশেষ অর্থবছরে নিবন্ধিত বিনিয়োগ প্রকল্পের সংখ্যা বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ (ডোয়িং বিজনেস) সূচকের ক্রমাবনতির কারণে বিদেশি উদ্যোক্তারা আগ্রহ হারাচ্ছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে হয়রানি ভোগ করতে হয়। সহযোগিতার অভাবও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উন্নতি করতে না পারলে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানো কঠিন। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি বিনিয়োগ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৬০ মিলিয়ন ডলারের মতো, যা আগের বছরের একই সময়ের প্রায় সমান। এদিকে বৈদেশিক বিনিয়োগের সবচেয়ে উর্বর খাত হিসেবে চিহ্নিত তৈরি পোশাক ও চামড়া খাতে এ বছর বিদেশি বিনিয়োগে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। শুধু বস্ত্র ও পোশাক খাতে গত অর্থবছর শেষে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ (এফডিআই) কমেছে ৪২ শতাংশ। একই রকম পরিস্থিতি বিরাজ করছে চামড়াশিল্প খাতেও।
শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
মন্দা কাটেনি বিদেশি বিনিয়োগে
মানিক মুনতাসির
প্রিন্ট ভার্সন
টপিক
এই বিভাগের আরও খবর