বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ০০:০০ টা

ল্যান্ডফোন সমস্যা সমাধানে টেলিসেবা অ্যাপ

জয়শ্রী ভাদুড়ী

মালিবাগের বাসিন্দা ফরহাদ হোসেনের টেলিফোন সংযোগ বিকল ছিল প্রায় দেড় মাস। লাইনম্যানকে বলে সমাধান পাচ্ছিলেন না তিনি। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে অ্যাপটি ডাউনলোড করেন তিনি। টেলিসেবা অ্যাপে অভিযোগ জানানোর পরের দিনই বাসার ল্যান্ডফোন সংযোগ সচল হয়েছে বলে জানান এই গ্রাহক। সরকারি মালিকানাধীন ল্যান্ডফোন সেবা নিয়ে গ্রাহকদের রয়েছে অজস্র অভিযোগ। হরহামেশাই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া, কল কেটে যাওয়া, অসামজ্ঞস্যপূর্ণ বিল নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এসব  অভিযোগের সমাধানে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) চালু করেছে ‘টেলিসেবা’ নামে মোবাইল ফোন অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিযোগ আগের তুলনায় কম সময়ে নিষ্পত্তি হচ্ছে। এ ছাড়া মতামত জানানো, টেলিফোন বিল জানা এবং পরিশোধও করা যাচ্ছে ঘরে বসে। বিটিসিএল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই অ্যাপটি উদ্বোধন করেন। চালু হওয়ার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত টেলিসেবা অ্যাপে অভিযোগ এসেছে চার হাজার ৫০০। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে চার হাজার ৪৯০। বিটিসিএলের সফটওয়্যার প্রকৌশলীরা এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন। যে কোনো অ্যান্ড্রয়েড মুঠোফোনের মাধ্যমে গুগল পে-স্টোর থেকে এই টেলিসেবা অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। আইফোনের জন্যও এই অ্যাপ চালুর চেষ্টা চলছে। লাইসেন্সজনিত কারণে মাসখানেক সময় লাগছে বলে জানায় সংস্থাটি।

এ ব্যাপারে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল মতিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এই অ্যাপে অভিযোগ করলে দুই দিনের মধ্যে সমাধান হবে। না হলে এর পরের দিন ওই অঞ্চলের প্রধানের কাছে পৌঁছে যাবে অভিযোগ। এর এক দিনের মধ্যে সমাধান না হলে বিটিসিএলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চলে আসবে অভিযোগ। তাই অজুহাত দেখিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ ফেলে রাখার সুযোগ নেই। গ্রাহক প্রতিনিয়ত জানতে পারছেন তার অভিযোগ কোন টেবিলে আছে। প্রধান কার্যালয়ে একটি টিম তৈরি করা হয়েছে এই টেলিঅ্যাপে আসা গ্রাহকের অভিযোগ মনিটরিংয়ের জন্য।

তিনি আরও বলেন, এই অ্যাপের আধুনিকায়ন চলছে। ঘরে বসে গ্রাহক ল্যান্ডফোনের সংযোগ নিতে পারবেন। গ্রাহকদের এই সুবিধা দিতে আমাদের পাইলটিং প্রকল্প চলমান রয়েছে। আগামী এপ্রিলে শেরেবাংলা নগরের গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত করা হবে। এরপর পুরো দেশে সংযোগ নেওয়ার প্রক্রিয়া অটোমেশন করা হবে। এটাই বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য।

সর্বশেষ খবর