পরিবেশ আন্দোলনের নেতা স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেছেন, এতদিন পর্যন্ত আমরা নিরাপদ ছিলাম। কিন্তু এখন ঝুঁকি অনেক বেড়ে গেছে। এক মাস আগে থেকেই সব বন্দর উচ্চ সুরক্ষিত রাখা উচিত ছিল। বিমানবন্দরগুলোতে গাফিলতি আমি নিজেই দেখেছি। এখনো গাফিলতি আছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, সরকার পেশাজীবীদের দিয়ে তথ্য বিশ্লেষণের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানাই। সরকারের উচিত হবে তরুণ প্রযুক্তিবিদদের কাজে লাগিয়ে দ্রুত একটি অ্যাপ তৈরি করা। এই অ্যাপ করোনাভাইরাসের রোগীদের তথ্য সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যেভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধী শনাক্ত করে, সেভাবেই করোনাভাইরাসের রোগী চিহ্নিত করে ধরা হোক। এই রোগীদের চলাফেরা নজরদারি রাখা প্রয়োজন। রোগীদের স্বজনদেরও পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। স্থপতি ইকবাল হাবিব আরও বলেন, দেশের সব পেশার মানুষের কাছে, তাদের হাত ধোয়ার বার্তা দিতে হবে। জনসচেতনতা তৈরির জন্য মসজিদের ইমামদের যুক্ত করা যেতে পারে। ওজুর সময় মুসল্লিরা যেন সাবান ব্যবহার করেন, সেই উদ্যোগ নিতে হবে। সব মিলিয়ে সামাজিকভাবে একটা সচেতনতামূলক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এই আন্দোলন সভা-সমাবেশ ও মিছিল করে নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
তিনি বলেন, সমাজের জনপ্রিয় মানুষ বা সেলিব্রেটিদেরও এই সচেতনতামূলক কাজে যুক্ত করা যাবে। আবার বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে, সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি-সিএসআর এখনই গ্রহণ করা যেতে পারে। এসব উদ্যোগ আসন্ন ডেঙ্গু সমস্যা সমাধানে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
পরিবেশ আন্দোলনের এই নেতার মতে, টিস্যু ব্যবহারের পরিবর্তে রুমাল ব্যবহার বাড়াতে হবে। কোনো এক রোগী টিস্যু ব্যবহার করে তা ফেলে দিলে, সেখান থেকে করোনাভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।