সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০ ০০:০০ টা
প্রকৃতি

করোনাকালেও মিলন হলো না বর্ষা-বাদশার

নজরুল মৃধা, রংপুর

করোনাকালেও মিলন হলো না বর্ষা-বাদশার

রংপুরের বিনোদন উদ্যান চিড়িয়াখানার একই খাঁচায় থাকে সিংহ বর্ষা রানী ও বাদশা। করোনা প্রকোপ শুরু হওয়ায় গত ৫ মাস থেকে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। বলা চলে কোলাহল মুক্ত নিরিবিলি পরিবেশে রয়েছে ওরা। তারপরেও মিলন হলো না ওদের।  চট্টগ্রাম থেকে রংপুরে এসেছিল বর্ষা রানী। ঘর বাঁধার স্বপ্ন ছিল রাজার ভাই বাদশার সঙ্গে। রাজাও ঘর বাঁধার স্বপ্নে চট্টগ্রামে যায় বর্ষা রানীর বোন ঝরনার সঙ্গে ঘর বাঁধতে। কিন্তু গত ৪ বছরে তাদের মধ্যে বনিবনা হয়নি। একত্রে থাকলেও বংশ বিস্তার করতে পারেনি দুই জুটির কেউই। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ বলছে মানসিকভাবে অ্যাডজাস্ট না হওয়ায় বংশ বিস্তার সম্ভব হচ্ছে না।

রংপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, রংপুর চিড়িয়াখানায় প্রায় আড়াই বছর বয়সী রাজা ও বাদশা নামে দুই সিংহ শাবক ছিল। তাদের কোনো মেয়ে সঙ্গী ছিল না। অপরদিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাতেও বর্ষা ও ঝরনা রানী নামে প্রায় দুই বছর বয়সী মেয়ে সিংহ ছিল। তাদেরও কোনো পুরুষ সঙ্গী ছিল না। বিষয়টি প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানানো হলে তারা সিদ্ধান্ত নেয় দুই চিড়িয়াখানার ছেলে-মেয়ে সিংহ বিনিময় করার। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম থেকে মেয়ে সিংহ বর্ষা রানীকে রংপুরে আনা হয়। তখন থেকে বর্ষা রানী বাদশার সঙ্গে একই খাঁচায় থাকছে।

অপরদিকে রংপুর থেকে রাজা নামের সিংহ শাবকটি চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়। দুই ভাই ও দুই বোন তখন থেকে পৃথকভাবে সংসার পাতে। রংপুর চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আম্বার আলী জানান, মূলত সিংহের বংশ বিস্তারের জন্য ওই দুই জোড়া সিংহ শাবকের জুটি বাঁধা হয়েছিল। কিন্তু ৪ বছরের বেশি হলেও কোনো জুটিই সন্তান জন্ম দিতে পারেনি। 

তিনি বলেন, পুরুষ সিংহ শাবকের বয়স একটু বেশি হওয়ায় মেয়ে সিংহ শাবকের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট হয়নি। তাই বংশ বিস্তার হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর