শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

আলোচনা প্রয়োজন সবাইকে নিয়ে

-ড. এম সাখাওয়াত হোসেন

আলোচনা প্রয়োজন সবাইকে নিয়ে

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ বা আরপিওর যেসব বিষয়ে সংশোধনের কাজে হাত দিয়েছে, তার কোনো প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশন যদি আরপিও সংশোধন করতে চায়, তবে অনেক জায়গা রয়েছে, যেগুলো শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনার  প্রয়োজন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি ভালো কিছু করতে চায়, তবে আগামী নির্বাচন কমিশন যারা আসবেন, তাদের হাত শক্তিশালী করার জন্য কী কী করা যায় সেগুলোই চিন্তা করা উচিত, আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ২০১২ সালে আমরা অনেক সুপারিশ করে এসেছিলাম। সেগুলো বর্তমান ইসি রিভিউ করতে পারে। তবে আরপিও থেকে কিছু বাদ দিয়ে ইসির উদ্ভট কথা না বলাই বেটার। তিনি বলেন, নারী প্রার্থীদের জন্য পাবলিক ফান্ডের ব্যবস্থা করা হোক, তাহলে পার্টিগুলো ৩০ ভাগের দিকে এগিয়ে যাবে। রি-কাউন্টিং ইসির কোনো এখতিয়ারের মধ্যে নেই। রিটার্নিং অফিসার একবার স্বাক্ষর করে দিলে, তখন রি-কাউন্টিং করতে গেলে মামলা হবে। ইসি বিপদে পড়বে।

এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের যে তিনটি শর্ত ছিল তার দুটির এখন আর প্রচলন নেই। একটি বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, যেহেতু ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে দলীয় নির্বাচন হচ্ছে, এজন্য প্রায় সব দলকে অংশগ্রহণের জন্য তাদের আলাদাভাবে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তারা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে, কোনো পার্টি অনিবন্ধিত রাখা উচিত নয়। যেহেতু আমাদের দেশে পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্ট নেই, যত দিন পর্যন্ত তা না হয় তত দিন নির্বাচনের মাধ্যমে যেন দলগুলো নিবন্ধন করতে পারে। স্থানীয় সরকার নির্র্বাচনে যাদের পারফরম্যান্স বেটার হবে, তাদের জাতীয় পর্যায়ে নিবন্ধন দেওয়া যেতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়) যদি রিভিউ করতে চায়, তবে ওটা আলাদা না করে তারা পরামর্শ দিতে পারে পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্ট করার জন্য। সব রাজনৈতিক দলকে প্রথমে পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্টের অধীনে আসতে হবে। যে যার মতো আজকে আলাউন্স দিয়ে কালকে রাজনৈতিক দলের পতাকা নিয়ে রওনা হয়ে গেল, তা না করে অ্যাক্টের অধীনে যারা থাকবে, তারা পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রেজিস্ট্রেশন নেবে। তিনি বলেন, এখন যারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য নিবন্ধিত আছে, তারা তো আছেই। কিন্তু অন্য ছোট ছোট দল আছে তারা তো এ পর্যন্ত আসতে পারছে না। তাই তাদের জন্য শিথিল করে হলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য আলাদা নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা দরকার। যদি উপজেলা নির্বাচনে সারা দেশে তারা ২৫টি সিট পায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যদি ১০ ভাগ ভোট পায় তবে তাদের নিবন্ধনের জন্য উপযুক্ত মনে করা যেতে পারে।

সর্বশেষ খবর