সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

সলিমুল্লাহ এতিমখানায় পুলিশি হামলা, বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

রাজধানীর আজিমপুরের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানায় পুলিশি হামলার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে গতকাল বিকালে শিক্ষার্থীরা এ বিক্ষোভ করে। হোস্টেল সংস্কার, থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থা ও পড়াশোনার উপকরণ সময়মতো সরবরাহসহ মৌলিক কয়েকটি দাবি জানাতে গিয়ে পুলিশের হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেন এতিমখানার শতাধিক শিক্ষার্থী। তাদের আরও অভিযোগ, দাবি জানাতে গিয়ে তাদের দুই শিক্ষক ও তিন সহপাঠীকে লালবাগ থানার পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। আটকরা হলেন, হোস্টেলের হাউস টিউটর ইউসুফ মোল্লা, ক্রীড়া শিক্ষক হারুন অর রশীদ এবং নয়ন, রানা ও রাকিব নামের তিন শিক্ষার্থী। এতিমখানার উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থী ফরহাদ বিশ্বাস সবুজ বলেন, আজকে (গতকাল) সকালে কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম। দুপুর ১টা পর্যন্ত বসে থাকলেও প্রশাসনের কেউ আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। এরপর পুলিশে খবর দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। দুজন স্যার ও তিন সহপাঠীকে ধরে নিয়ে গেছে। মেয়েদের ওপরও পুরুষ পুলিশ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এতিমখানার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা জানায়, হোস্টেলে আমাদের মানসিক নির্যাতন করা হয়। আমাদের ঠিকমতো খাবার দেওয়া হয় না। কেউ অসুস্থ হলে তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। অভিযোগের বিষয়ে শহর সমাজসেবা কার্যালয়-৫ এর সমাজসেবা অফিসার জহির উদ্দীন বলেন, একজন নিবাসীর (এতিমখানার ছাত্রছাত্রী) গায়েও হাত তোলা হয়নি। আজকে ওরা যখন আন্দোলন শুরু করে, তখন একটা তদন্ত কমিটি গিয়েছিল। ওরা তদন্ত কমিটির কাজে বাধা দেওয়ায় তাদের ভিতরে যেতে বলা হয়েছে।  আটকদের বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটির কাজে বাধা দেওয়ায় কমিটি পুলিশ ডেকে নিয়ে এসে তাদের পুলিশের হেফাজতে দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, সরকারি এই এতিমখানায় ছেলে- মেয়ে মিলিয়ে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী থাকে। আলাদা দুটি হোস্টেলে তাদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর