শুক্রবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

প্রতিদিন মৃত্যু ১৩ হাজার

প্রতিদিন ডেস্ক

মহামারী আকারে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ও মৃত্যুর গতি আরও বেড়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ হাজার। আগের ২৪ ঘণ্টায় এ সংখ্যা ছিল ১২ হাজারের বেশি। এর আগের দিন এ সংখ্যা আরও কম ছিল। পাশাপাশি সংক্রমিতের সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে ২৪ ঘণ্টায় ৬ লাখ সাড়ে ১১ হাজার। এক দিন আগে এ সংখ্যা ছিল সাড়ে ৫ লাখের ঘরে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের হিসাব অনুযায়ী, গতকাল সকাল পর্যন্ত বিশ্বে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬ কোটি ৮ লাখ এবং মৃত্যু ছিল ১৪ লাখ ২৯ হাজার প্রায়। গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৮১ হাজার ১২৪ জন সংক্রমিত এবং ২ হাজার ৪০০ জন মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছিল মৃত্যু-সংক্রমিতে বিশ্বের মধ্যে প্রথম। সংক্রমিতে পরের অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে নতুন আক্রান্ত ছিল ৪৫ হাজার ৪৪৯ জন এবং মৃত্যু ছিল ৬২০ জন। ভারতে সংক্রমিত ছিল ৪৪ হাজার ৬৯৯ জন এবং মৃত্যু ছিল ৫১৮ জন। ইতালিতে সংক্রমিত ছিল ২৫ হাজার ৮৫৩ জন এবং মৃত্যু ছিল ৭২২ জন। রাশিয়ায় সংক্রমিত ছিল ২৩ হাজার ৬৭৫ জন এবং মৃত্যু ছিল ৫০৭ জন।

যুক্তরাষ্ট্রে ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু : করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে গত ছয় মাসের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার  দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ৪০০ মানুষ মারা গেছেন। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে থ্যাংকসগিভিং ডে ছুটির শুরুতেই সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশটিতে মোট করোনা সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৭১৬। এ সময় পর্যন্ত সেখানে করোনায় মৃত্যু ঘটে ২ লাখ ৬২ হাজার ১৪৫ জনের। এক দিনে প্রায় দুই লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়।

মার্চের পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ দক্ষিণ কোরিয়ায় : দক্ষিণ কোরিয়ায় গত মার্চের পর এক দিনে সর্বোচ্চ কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেখানে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৫৮৩ জন। এক সময় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সফল হয়ে সুনাম কুড়ানো এশিয়ার এ দেশটি এখন মহামারীর তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নতুন কঠোর সামাজিক দূরত্ব বিধি আরোপের পরও সেখানে মহামারী পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকার রাজধানী সিউল ও এর আশপাশের এলাকায় নতুন করে কড়া দূরত্ব বিধি আরোপ করেছে। দ্বিতীয় দফা করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় আরোপিত বিধিনিষেধ শিথিলের এক মাস পরই সরকার এই কড়াকড়ির পদক্ষেপ নিয়েছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, সরকার দ্রুত বিধিনিষেধ শিথিল করায় সংক্রমণে ফের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। গত ৬ মার্চের পর বৃহস্পতিবার প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় দৈনিক সংক্রমণ ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে। সিউলের কোরিয়া ইউনিভার্সিটিগুলো হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক কিম উ-জু বলছেন, ‘অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ আর মানুষ অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়তে থাকার কারণে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছিল। কিন্তু পদক্ষেপটি অকালেই নেওয়া হয়ে গেছে।’ দক্ষিণ কোরিয়ায় ধর্মীয় সমাবেশ থেকে প্রথম দফা সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে। তবে বর্তমানে সংক্রমণ রাজধানী ঘিরে ছড়িয়ে পড়ায় আক্রান্তদের শনাক্ত করা এবং এর বিস্তার ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর