নব্বইয়ের অন্যতম শীর্ষ ছাত্রনেতা, তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলন করে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে। কে করেছে, কারা করেছে সবাই জানে। সেই শহীদদের প্রত্যাশা আজও পূরণ হয়নি। যে আশা নিয়ে এতগুলো মানুষ জীবন দিলেন, সেই গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। মানুষের ভোটাধিকার নেই। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, আগে তো এরশাদ আমলে দিনের বেলায় ভোট হতো। দিনের বেলায় সিল মারত। কিন্তু কোনো প্রার্থীকে আক্রমণ করত না। রেজাল্ট ৪৮ ঘণ্টা পর ঘোষণা করত। অল্প কিছু মানুষ বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের চরিত্র নষ্ট হতো ওই সময়। সিল মারত এরশাদের দলের লোকজন। এখন আগের দিন রাতেই ভোট হয়ে যায়! এখন সিল মারে প্রশাসনের লোকজন, স্কুল-কলেজের প্রিসাইডিং অফিসার, শিক্ষক, ব্যাংকাররা। এখন প্রার্থীর ওপর আক্রমণ করা হয়। নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। প্রয়োজনে গুম-খুনের পথও বেছে নেওয়া হয়। এর সব ব্যবস্থা করে দেয় সরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিজের কব্জায় নিয়ে তারা এ কাজটি করছে। সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, আজ আওয়ামী লীগ জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে। রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলা হয়েছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো দলীয়করণ করা হয়েছে। বিসিএস থেকে শুরু করে সব প্রশাসনিক ক্যাডার বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর চরিত্র নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এটা অমার্জনীয় অপরাধ। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো অপরাধ আর কিছু নেই। এ প্রত্যাশা শহীদদের ছিল না। সরকার এ অবস্থা থেকে ফিরে না এলে তাদের একদিন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আজ আওয়ামী লীগ যা করছে, ’৭০-এর নির্বাচনে পাকিস্তানও তা করেনি। হাবিবুর রহমান হাবিব আরও বলেন, দেশে গণতন্ত্রের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আজ বন্দী করে রেখেছে সরকার। মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার বলতে কিছু নেই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান আজ একটি দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। এমন অবস্থা এরশাদের আমলেও ছিল না। সেই এরশাদ আমলের চেয়েও দেশ আজ বড় স্বৈরতন্ত্রের কবলে পড়েছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এতেই শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।
শিরোনাম
- বড় জয়ে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো জার্মানি
- জাতিসংঘের গাজা প্রস্তাব ফিলিস্তিনিদের অধিকার পূরণে ব্যর্থ : হামাস
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি
- আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় ৩০ মিয়ানমার সেনা নিহত
- বাংলাদেশ-ভারত মর্যাদার লড়াই : কখন কোথায় কিভাবে দেখা যাবে
- ১৫ মাসে অন্তর্বর্তী সরকার যা করেছে, অতীতে কেউ করতে পারেনি : প্রেস সচিব
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ‘খুবই উদ্বেগজনক’ ঘটনা: শশী থারুর
- পারমাণবিক শক্তি অর্জনের পথে সৌদি আরব?
- সরকারের সমালোচনা: ভেনেজুয়েলায় নারী চিকিৎসকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড
- রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনে হতাহত ১৮
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা আছে ট্রাইব্যুনালে
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া