রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

ভুটানকে সঙ্গে নিয়ে ইতিহাসের শরিক হচ্ছে বাংলাদেশ

দ্বিপক্ষীয় শুল্ক সুবিধার বাণিজ্য চুক্তি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী ভুটানকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ইতিহাসের শরিক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে এসে প্রথমবারের মতো শুল্ক সুবিধার অগ্রাধিকারমূলক (পিটিএ) বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর হবে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ও ভুটানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রী নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ড. লোটে শেরিং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অংশ নেবেন। পিটিএ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বর্তমান ১০০ পণ্যের সঙ্গে নতুন আরও ১০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানির সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। একইভাবে বর্তমানে ১৮টি পণ্যের সঙ্গে নতুন আরও ১৬টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে ভুটান। বাংলাদেশ মূলত ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর আমদানি করে। এ চুক্তির ফলে পণ্যটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা গেলে দেশের নির্মাণশিল্পের ব্যয় কমে যাবে। খরচ কমবে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নেও। দুই দেশের মধ্যে এ ঐতিহাসিক চুক্তি উপলক্ষে গতকাল বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেখানে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটান। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন ভুটান সরকার বাংলাদেশকে এ স্বীকৃতি দেয়। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পূর্তিতে এ দিনটি স্মরণীয় করে রাখতেই পিটিএ স্বাক্ষরের জন্য ৬ ডিসেম্বরকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পিটিএ স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশও ভুটান- এমন তথ্য জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ চুক্তির ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে, আর এতে লাভবান হবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ প্রক্রিয়ার পরবর্তী বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ ধরনের চুক্তির বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, পিটিএ চুক্তির ফলে ভুটান থেকে বাংলাদেশে শুল্ক সুবিধায় যেসব পণ্য আসবে তার মধ্যে দুধ, মধু, ফুল, জেলি, সয়াবিন, খনিজ পানি, কচি ভুট্টা (সবজি হিসেবে খাওয়ার জন্য), সাবান ও পার্টিকেল বোর্ড উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে একই সুবিধায় বাংলাদেশ থেকে ভুটানে যেসব পণ্য যাবে তার মধ্যে বিভিন্ন প্রকার ফলের রস, গ্রিন টি, মিনারেল ওয়াটার, প্লাইউড, শীতবস্ত্র, বস্ত্রশিল্পের কাঁচামাল উল্লেখযোগ্য।

সর্বশেষ খবর