বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা
কৃষি

পটুয়াখালীতে আমন ধানের দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষক

সঞ্জয় দাস লিটু, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীতে আমন ধানের দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষক

ফলন কিছুটা কম হলেও আমন ধানের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকার কৃষক। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে মণপ্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দরে ধান বিক্রি হচ্ছে। তাই ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এবারও এই জেলা থেকে ধান এবং চাল সংগ্রহ করছে সরকার। আর এ কারণেই ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের প্রধান ফসল আমন ধান। একটা সময় ছিল যখন কৃষকদের উৎপাদিত এই ধানের ন্যায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হতেন। নামমাত্র দামে বাধ্য হয়ে বেপারি কিংবা ফড়িয়াদের কাছে ধান বিক্রি করতে হতো। তবে গত কয়েক বছর সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানোর কারণে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। এবারও প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা দরে কৃষকরা সরকারি গোডাউনে সরবরাহ করতে পারছেন। গত বছর প্রতিমণ ধান ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা বিক্রি হলেও এবার সেই ধান ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া এলাকার কৃষক হাতেম আলী হাওলাদার বলেন, এ বছর আমন ধানের দাম বেশি তাতে আমরা খুশি কিন্তু গত বছরের চাইতে এ বছর ধান পরিমাণে কম পেয়েছি। মৌসুমের শুরুতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমন আবাদ করতে দেরি হয়েছে। পরে আবার বৃষ্টি হয়েছে। তার পরও এ বছর বদলা-কামলা, সার, ওষুধ দিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যাবে। এদিকে ধান পরিবহন করতে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে চাঁদার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযাগ ট্রাকচালক ও মালিকদের। ধানের বাড়তি দামের পাশাপাশি পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তা চালের বাজারে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তারা। পটুয়াখালী সদর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা বি এম শফিকুল ইসলাম জানান, এবারও পটুয়াখালী জেলায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য বিভাগ ৪ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন আমন ধান সংগ্রহ করছে। এ ছাড়া মিলারদের কাছ থেকে ৪ হাজার ৫৩৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে সরকার প্রথম ধাপে সফল হলেও আগামীতে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখাকে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা।

সর্বশেষ খবর