বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেছেন, টিকা শরীরের ভিতরে ভাইরাস রুখতে কাজ করবে অর্থাৎ ইন্টারনাল প্রিভেনশন হিসেবে কাজ করবে। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাহলে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না অর্থাৎ এক্সটারনাল প্রিভেনশন। টিকা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে সংক্রমণের ঝুঁকি ও পরবর্তী জটিলতা কমিয়ে দেবে। টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কয়েকজনের ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে তিনি বলেন, শরীরে করোনার জীবাণু প্রবেশের পর যদি তারা টিকা নেন তাহলে তা কাজ নাও করতে পারে। তবে আমার ধারণা তারা আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। করোনাভাইরাসের জীবাণু শরীরে ১৫ দিন পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে। হয়তো টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। তাদের করোনা নেগেটিভ এলে তারা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সময়ের কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে টিকা নিতে পারবেন। টিকার বুস্টিং ডোজ বা দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে। তবে কারও যদি নানা শারীরিক সমস্যা বা ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল থাকে তিনি আবারও আক্রান্ত হতে পারেন। তবে সে সংখ্যা বড়জোর ১০ হাজারে একজন হতে পারে। ডা. নজরুল ইসলাম আরও বলেন, টাইফয়েডের টিকা নেওয়ার পরে কেউ যদি ভাবেন নোংরা পানি খেলেও আর সমস্যা নেই, বাড়িতে বন্দুক আছে বলে তো আর দরজা খুলে ঘুমানো যাবে না। ঠিক তেমনি টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করাও উচিত হবে না।