শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
এডিবির পূর্বাভাস

চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে দেওয়া আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, চলতি বছর প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে ৫ থেকে -৬ শতাংশ। এর আগে সংস্থাটি বলেছিল চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে। কিন্তু এখন তা কমিয়ে এনেছে। বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে সাড়ে ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ হতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি। গতকাল জুম প্ল্যাটফরমে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে হালনাগাদ আউটলুক প্রকাশ করেছে এডিবি। সেই আউটলুকে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি আরও মনে করে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম জোরদার হলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চাকা সচল থাকবে। বাংলাদেশের জনগণের জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহে ঋণ ও অনুদান মিলে ৯৪ কোটি ডলার দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৮৪ কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের পাশাপাশি কভিড-১৯ পরিস্থিতি সামলাতে বিভিন্ন সহায়তার বিষয় তুলে ধরেছে এডিবি। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনের। এ সময় বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এডিবি ইতিমধ্যেই ৬৫ কোটি ডলার ঋণ ও ৭ দশমিক ২৩ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে করোনা সংকট মোকাবিলায়। দুই কর্মসূচির আওতায় আরও ৫০ কোটি ডলার দেবে এডিবি। এই ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া টিকা কর্মসূচির জন্য দেবে ৯৪ কোটি ডলার। ২০২১ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে নানা প্রকল্পে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে সংস্থাটি।

এডিবি বলেছে, বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আবার চাপে পড়েছে। সরকার সংক্রমণ রোধে লকডাউন দিয়েছে ও ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করেছে। এসব পদক্ষেপ জীবন বাঁচাবে, কিন্তু জীবনযাপনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমিয়ে দেবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চললেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আমরা যখন পূর্বাভাস দিয়েছিলাম, তখন এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। ফলে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের ৬ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি অর্জন হওয়ার যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল, তার থেকে কমপক্ষে ১ শতাংশ কম অর্জিত হতে পারে। এই অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপি অর্জিত হতে পারে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ। বৈশ্বিক অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালে এবং যথাযথভাবে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হলে ২০২২ অর্থবছরে (২০২১-২২) প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে বলেও জানিয়েছে এডিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স আগের মতোই ভালো অবস্থায় থাকতে পারে। একইভাবে কৃষি, সেবা ও শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। রাজস্ব আদায় গত বছরের চেয়েও এ বছর বেশি হতে পারে। মূল্যস্ফীতি থাকতে পারে ৫.৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে। আর আমদানি যেমন আছে, তেমনই থাকতে পারে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুটা সংকুচিত হতে পারে বলে মনে করে এডিবি।

সর্বশেষ খবর