নেপালের সংসদে আস্থা অর্জন করতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। গতকালের আস্থা ভোটে তিনি হেরে গেছেন। ফলে নিয়ম মেনে এবার তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন। দেশের করোনা পরিস্থিতি সামলাতে না পারার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ৯৩ আর বিপক্ষে ১২৪টি ভোট পড়ে। ১৫ জন সদস্য অনুপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে এসে নেপালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে। তার পর থেকে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে আস্থা ভোটে হারতে হলো।
দায়িত্ব নেওয়ার পর ৩৮ মাস প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন কে পি ওলি। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বকালে একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে দেশের সীমানা নিয়ে ভারতের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। এ কাজের জন্য ওলিকে পেছন থেকে চীন মদদ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ভারতের তরফে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানানো হয়। এমনকি ওলির নিজের পার্টিতেও ভারতের সঙ্গে অযথা এ টানাপোড়েন অনেকে ভালোভাবে নেননি। তাঁরা সে মতামত প্রকাশ্যেই ব্যক্ত করেন। তখনই তাঁকে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ওঠে। পরে অবশ্য বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ওলির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে থাকে দেশের মানুষের মধ্যে। তারই প্রতিফলনই হয় নেপালি সংসদে। ভোটে হেরে যাওয়ার পর ওলি বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি দেশের মানুষের স্বার্থেই কাজ করছিলেন। কিন্তু সংকীর্ণ রাজনীতির শিকার হলেন তিনি। এবার তাঁকে নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যাদেবী ভান্ডারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাতে হবে।