শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

ডা. সাবিরা হত্যায় ফিঙ্গার প্রিন্ট ধরে তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

গ্রিনলাইফ হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান খুনে এখনো কোনো ক্লু বের করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জানা যায়নি হত্যার কারণও। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত পাঁচজনকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা  পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। খুনের রহস্য উন্মোচনে ফিঙ্গারপ্রিন্টের আলামত ধরে তদন্ত এগিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকান্ডের কোনো ক্লু না পাওয়ায় আপাতত ফিঙ্গারপ্রিন্টের ওপরই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে। পাশাপাশি সন্দেহভাজনদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, সম্ভাব্য সব উৎস থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। এমনকি ওই ফ্ল্যাটের বাইরে সিঁড়ি থেকে দুটি সিগারেটের ফিল্টার সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট।

্রলাশ ও ওই ঘরের বিভিন্ন আসবাবের ওপর থেকে একাধিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ডিবিসূত্র জানান, দুই দিনের ধারাবাহিক ইন্টারোগেশনে এখন পর্যন্ত কিছু পাওয়া যায়নি। নিহতের বাসায় সাবলেট থাকা তরুণী, তার এক বন্ধু, বাড়ির দারোয়ান, গৃহকর্মী ও নিহতের স্বামীকে নানা কৌশলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তারা প্রতিবারই একই রকম তথ্য দিয়েছেন। তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টের আলামতও সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ মাহমুদ জানান, এখন পর্যন্ত খুনের কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ খুনের রহস্য উন্মোচনে তারা এখনো প্রযুক্তিগত দিক থেকে তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩১ মে রাজধানীর কলাবাগান থেকে ডা. সাবিরার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তা ছাড়া কিছু অংশ পোড়া ছিল। পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ রবিবার রাতে খুন হন সাবিরা। ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে পরদিন সকালে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর