শনিবার, ১২ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

নজরদারির ব্যবস্থা খুবই খারাপ

----- এলিনা খান

নজরদারির ব্যবস্থা খুবই খারাপ

‘টিকটক’সহ বিভিন্ন সোশ্যাল অ্যাপের মাধ্যমে নারীরা প্রলোভনের শিকার হয়ে পাচার হচ্ছেন। এজন্য এ অ্যাপগুলো নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির আওতায় রাখতে হবে। নারী পাচারের ঘটনাগুলো সহজে হয়নি। এই ভুক্তভোগীদের দেশের আকাশ, নৌ ও স্থল পথেই পাচার করা হয়েছে। এসব জায়গায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কীভাবে নজরদারি করেছে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ ক্ষেত্রে বলতে হয়, আমাদের নজরদারি ব্যবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব     কথা বলেন। তিনি বলেন, নারী পাচারের ঘটনা শুধু এখন নয়, স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে নারী পাচারের মতো অপরাধ ঘটছে। মেয়েদের পতিতাবৃত্তির জন্য পাচারের ঘটনাও বাড়তে থাকে। এরপর নারী পাচার কিছুটা কমলেও ’৯০-এর দশকে এসে এটি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। পাচারের জন্য সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের নারীদের টার্গেট করা হয়। এরপর সরকার, এনজিওসহ সবার নেওয়া পদক্ষেপে নারী পাচারের ঘটনা কিছুটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। এখন ডিজিটাল যুগে এসে নারী পাচারেও ভিন্নতা এসেছে। উঠতি বয়সীরা এখন সবকিছুর মধ্যে গ্ল্যামার বা আনন্দ খোঁজে। তারা বেশির ভাগ সময়ই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নয়। এ ক্ষেত্রে ছেলেরা যতটা না সচেতন থাকে মেয়েরা ততটা থাকে না। কি শহর কি গ্রাম সব স্থানে একই চিত্র। এর ফলে যে মেয়েদের মধ্যে সচেতনতাবোধ কিছুটা কম। তারা অল্পতেই পরিচিত হওয়ার জন্য এবং অর্থের লোভে ভুল পথে পা বাড়ায়। এলিনা খান বলেন, পাচারসংশ্লিষ্ট কাজ করতে গিয়ে বর্ডার এলাকায় আমরা দেখেছি, একজন পাচারকারী ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার উকিল জামিনের ব্যবস্থা করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নারী পাচারের মামলাগুলো এমনভাবে লিখত যে পাচারকারীরা ফাঁকফোকর দিয়ে বের হয়ে যেত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর