শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

সুরের বৃষ্টিতে ভিজলেন ভার্চুয়াল শ্রোতারা

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

সুরের বৃষ্টিতে ভিজলেন ভার্চুয়াল শ্রোতারা

যে কোনো প্রতিকূলতায় সুর মানবমনে ভালোলাগা ও ভালোবাসার দোলা দেয়। সুরের বৃষ্টিতে বিগলিত হয় প্রেমিকহৃদয়। মানসপটের ক্যানভাসটাও বর্ণিল হয় সংগীতের শৈল্পিকতায়। এই করোনাকালেও সুর মন ছুঁয়েছে অনলাইন জগতের সংগীতপিপাসুদের। বিশ্বসংগীত দিবসের সপ্তাহব্যাপী ভার্চুয়াল সুরের আসরের চতুর্থ দিনেও প্রতীয়মান হয়েছে সংগীতের জয়-জয়কার। বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এই আসরে ভার্চুয়াল শ্রোতাদের প্রশংসার জোয়ারে ভেসেছে সংগঠনটির ফেসবুক পেজ। সাত দিনের এই অনলাইন আসর সাজানো রয়েছে সাত বিষয়ের সংগীত দিয়ে। এতে অংশ নিচ্ছে রাজধানী ঢাকার ৪০টি সংগীত সংগঠন। গতকাল চতুর্থ দিনের আয়োজন সাজানো ছিল আধুনিক গানের সমাহারে। এদিনের আসরে রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী আয়োজনে আধুনিক গান পরিবেশন করেন মহীরুহ শিল্পীগোষ্ঠীর শ্রাবণী গুহ রায়, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার আবদুর রশিদ, রবিরশ্মির শাহনাজ সিদ্দিকী নাজ, নন্দনের শ্রেয়সী রায়, সংগীত ভবনের অলি রায় ভৌমিক, গানের খেয়ার উদ্ধৃতি দাশ ও গীতাঞ্জলির মতিউর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আবু হেনা মোস্তফা কামালের কথায় ও আবদুল আহাদের সুরে শ্রাবণী গুহ রায় পরিবেশন করেন ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে তুমি এলে, শিল্পীর দ্বিতীয় পরিবেশনাটি ছিল ‘চঞ্চল হাওয়ারে ধীরে ধীরে’। আবদুর রশিদ গেয়ে শোনান ‘বাঁশি কেন কাঁদে সে কি জানে, ও ‘যেতে যেতে কিছু কথা’। শাহনাজ সিদ্দিকী নাজ গেয়ে শোনান ‘আমার মন বলে তুমি আসবে’, ও ‘গান হয়ে এলে মন যেন’। শ্রেয়সী রায়ের কণ্ঠে গীত হয় ‘সুখ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে’ ও ‘তুমি আছ বলে’ গান দুটি। এরপর অলি রায় ভৌমিক পরিবেশন করেন ‘পৃথিবী আমারে চায়’ ও ‘গান হারালাম তোমার মাঝে’। উদ্ধৃতি দাশ পরিবেশন করেন ‘খোলা জানালায় চেয়ে দেখি’ ও ‘একি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে’। সর্বশেষ শিল্পী মতিউর রহমান পরিবেশন করেন ‘ভালোবাসার মূল্য কত, ও ‘চল না দীঘার সৈকত ছেড়ে’। এর আগে সংগীতের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন সংগীতজ্ঞ শেখ সাদী খান। আজ আসরের পঞ্চম দিনের আয়োজন সাজানো থাকবে দেশাত্মবোধক গানের সমাহারে। ২৭ জুন রবিবার শেষ হবে এই অনলাইন সংগীতাসর।

আজ শেষ হচ্ছে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব’ : দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ ও উন্নয়নে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চলছে ‘তৃতীয় বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১’। আজ শেষ হবে আট দিনের এই ভার্চুয়াল উৎসব। সারা দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের নির্মিত ৮১টি কাহিনি চলচ্চিত্র ও ৩৮টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবারের উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে। শিল্পকলা একাডেমির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে (www.facebook.com/shilpakalapage) উৎসবের ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে। এবারের উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে দুটি বিভাগে (কাহিনি ও প্রামাণ্য) শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বিশেষ জুরি শাখায় মোট ৭টি পুরস্কার প্রদান করা হবে। শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় আরও ৪টি পুরস্কার দেওয়া হবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে ৭টি বিভাগে পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রদান করা হবে। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ১ লাখ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা ১ লাখ এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার ৫০ হাজার, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রহণ ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ সম্পাদনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা ২৫ হাজার, শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পনায় ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনকে উৎসর্গ করে ১৮ জুন শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজ থেকে ভার্চুয়াল এ উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর