শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা
সংকটকালে মানুষের পাশে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বসুন্ধরার খাদ্য সহায়তা পেল আরও ৮৫০ পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বসুন্ধরার খাদ্য সহায়তা পেল আরও ৮৫০ পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ৮৫০ পরিবারের মাঝে দেওয়া হয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের নির্দেশনায় সারা দেশে করোনায় কর্মহীন অসহায়দের খাদ্য সহায়তা দেওয়ার অংশ হিসেবে গতকাল জেলার গোমস্তাপুর ও নাচোল উপজেলায় ৮৫০ পরিবারের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ৩ কেজি ডাল, ৩ কেজি আটা সহায়তা হিসেবে দেওয়া হয়। 

সকালে রহনপুর এবি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৩৫০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ হুমায়ূন রেজা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান মতি খান। পরে রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ১০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করা হয় এবং শেষে নাচোল মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে ৪০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন করোনায় কর্মহীন দুস্থ ও অসহায় মানুষগুলো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরে আজ শুক্রবার আরও ৮০০ পরিবারের মাঝে সহায়তা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে তিন দিনে জেলায় ৩ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানান কালের কণ্ঠ শুভ সংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান। সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ হুমায়ূন রেজা এবং পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি খান বলেন, করোনা সংকট চলাকালে গোমস্তাপুরে বসুন্ধরা গ্রুপের এই সহায়তায় এলাকার অসহায় মানুষগুলো উপকৃত হবে। এজন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা। রহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ত্রাণ নিতে আসা প্রতিবন্ধী নারী সেলিনা খাতুন বলেন, প্রতিবন্ধীদের অনেকেই অবহেলার চোখে দেখে। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ যে মানুষের কল্যাণে প্রতিবন্ধীদের সহায়তা করছে এ জন্য তিনি আল্লাহর কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন। বৃদ্ধা আসমা বেগম জানালেন, করোনা সংকটে তার পরিবার খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। এ সময় বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্য সহায়তা তাদের কাছে অনেক কিছু। বিধবা জেসমিন আক্তার বলেন, তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করে পাঁচজন সদস্যের পরিবার নিয়ে খুব কষ্টে রয়েছেন। বসুন্ধরার এই সহায়তা পেয়ে তার পরিবার উপকৃত হলো। মাটিকাটা শ্রমিক রফিকুল জানান, করোনা সংকটে তিনি কাজ হারিয়ে খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছেন। কিন্তু এই সহায়তা পেয়ে অন্তত সাত দিন তাকে কোনো চিন্তা করতে হবে না। তার পরিবারের সহায়তায় বসুন্ধরা গ্রুপ এগিয়ে আসায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। রাহেলা নামে এক বৃদ্ধা জানান, দীর্ঘদিন ধরে করোনা সংকট চললেও অনেক দিন ধরে কোনো সহায়তা পাননি তার মতো অনেকেই। আজ বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তা পেয়ে এলাকার মানুষ আনন্দিত।

সর্বশেষ খবর