কুমিল্লার মুরাদনগরে মসজিদে সংঘর্ষে একজন নিহতের ঘটনায় ১০ জনের নামোল্লেখ করে এবং পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী আফরোজা আক্তার। শুক্রবার রাতে বাঙ্গরাবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে এখন পর্যন্ত মসজিদের তালা খোলা হয়নি। সূত্র জানায়, শুক্রবার কুড়াখাল বাইতুন নূর জামে মসজিদে জুমার খুতবার পূর্ববর্তী আজানকে কেন্দ্র করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ও রেজভিপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আবু হানিফ খান (৩৮) নামে এক কৃষক নিহত হন। সংঘর্ষের সময় নামাজরত অবস্থায় ছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুড়াখাল গ্রামে রেজভিপন্থি ৫০টি পরিবার আছে। মুরাদনগর উপজেলায় সংখ্যার দিক থেকে এটাই সর্বোচ্চ। কুড়াখাল গ্রামের ওই মসজিদে ক্ষমতার দিক থেকে বর্তমানে রেজভিপন্থিরা এগিয়ে। ইমাম কামরুজ্জামান প্রায় ১৬ বছর ধরে ইমামতি করছেন ওই মসজিদে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসিন্দা। শুক্রবার বাংলা খুতবা শেষে আজান দেওয়ার সময় হলে রেজভিপন্থিরা মুয়াজ্জিনকে বাইরে গিয়ে আজান দিতে বলেন। তখন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের লোকজন আগের নিয়ম ভাঙতে অসম্মতি জানান। এতে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে রেজভিপন্থিরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের লোকজনের ওপর হামলা চালান। তারা কৃষক হানিফের কোমর ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। গুরুতর আহত হন তিনজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাঙ্গরাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় রেজভিপন্থি কুড়াখাল গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে শাহীনকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।