মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

ধারের টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ী খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

চাঁদপুরের ব্যবসায়ী নারায়ণচন্দ্র ঘোষের (৬০) খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ধারের টাকা চাইতে গেলে ওই ব্যবসায়ীকে খুন করেন সেলুনকর্মী রাজুচন্দ্র শীল। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সংস্থাটির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নারায়ণকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি চাঁদপুর শহরের বিপণিবাগ মার্কেটের টিপটিপ সেলুনের কর্মচারী। তাকে রবিবার সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

মুক্তা ধর জানান, রাজুর কাছে ধারের পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়েছিলেন নারায়ণ। এসময় তার সঙ্গে নারায়ণের ঝগড়া হয়। এই বিবাদের জেরে তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ব্যবসায়ী নারায়ণকে খুন করেন। পরদিন সকালে স্থানীয় বিপণিবাগ মার্কেট এলাকার পানির পাম্প স্টাফ রুমের কাছ থেকে তার বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার হয়। এদিনই তার ছেলে রাজীব ঘোষ বাদী হয়ে রাজুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। তবে রাজুর কাছে নারায়ণ কত টাকা পেতেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি তিনি। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নারায়ণ দই-মিষ্টি বিক্রি করতেন। পাশাপাশি তিনি লোকজনকে টাকা ধার দিতেন। কয়েক মাস আগে তার কাছ থেকে টাকা ধার নেন রাজু। তারপর আর তিনি টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। নারায়ণকে হত্যার পর রাজু বাসা থেকে বস্তা আনেন। নারায়ণের লাশ বস্তায় ভরে টানতে টানতে পাশের একটি পানির পাম্পের স্টাফ রুমের পূর্ব পাশের গলির ভিতর নিয়ে রাখেন। ফিরে এসে রাত ১টায় তিনি সেলুন ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করেন। গভীর রাতে সেলুন ধোয়ার দৃশ্য দেখেন নৈশপ্রহরী ইসমাইল। এত রাতে রাজু দোকানে কী করছেন এ কথা জানতে চান ইসমাইল। তখন রাজু বলেন, পরদিন তাদের একটি ধর্মীয় উৎসব আছে। তাই পুরনো কাপড়সহ ময়লা জিনিসপত্র বস্তায় ভরছেন। ওই রাতেই রাজু এলাকা ছেড়ে প্রথমে ঢাকায় ও পরে সুনামগঞ্জে চলে যান। সেখান থেকে তিনি যান সিলেট। হত্যাকাে র পরদিন সেলুন মালিক দোকানে ঢুকে বুঝতে পারেন, ভারী কিছু একটা তার দোকান থেকে টেনে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর