নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাথে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হকার জুবায়েরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হকার নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে নিহত জুবায়েরের মা মুক্তা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ছুরিকাঘাতে হকার জুবায়ের হত্যার ঘটনায় ফতুল্লায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। গতকাল বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রায় এক ঘণ্টা ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে লাশ রেখে বিক্ষোভ করা হয়। এতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। জুবায়ের হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জার সামনে ফুটপাথে সাদেকের জুতার দোকানে চাকরি করত জুবায়ের। ফুটপাথে দোকান বসানো নিয়ে স্বপনের সঙ্গে ঝগড়া হয় জুবায়েরের। পরে জুবায়েরকে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে নিয়ে চর থাপ্পড় মারতে থাকে স্বপন। এ সময় হকার নেতা আসাদের হুকুমে মামলার প্রধান আসামি ইকবাল মহসিনের দোকান থেকে ধারালো চাকু এনে জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে। সায়মন মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জুবায়েরের হাতের রগ কেটে দেয়। অপর দুই আসামি হাসান ও সানি লোহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। রাসেল ও মহসিনসহ অজ্ঞাত আসামিরাও মারধর করে জুবায়েরকে ফেলে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত জুবায়ের ফতুল্লার উত্তর মাসদাইরের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) নাজমুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জুবায়ের (১৭) নামে হকার খুন হয়। এ ঘটনায় ভোর রাত ৪টায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে থেকেই পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।